ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জাল টাকার মামলায় পাপিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু
Published : Sunday, 22 August, 2021 at 4:19 PM
জাল টাকার মামলায় পাপিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরুঅস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চার জনের বিরুদ্ধে  জাল টাকার  মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রবিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।এদিন আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাপিয়ার আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৯ বছরের নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার  মো. নাজমুল হক ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর।

চার্জশিটে মামলার তদন্ত ককর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত জাল টাকা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বহন ও বিপুল পরিমাণ অপরাধলব্ধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মামলার চার্জশিটে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের  মামলা করা হয়।