জাস্টিন ল্যাঙ্গার ভীষণ চাপে। বাংলাদেশ সফরে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খোয়ানোর পরই দলের মধ্যে একটা কোন্দল লেগে গিয়েছিল। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি হয় অসি হেড কোচের।
গণ্ডগোলের শুরু একটা ভিডিও নিয়ে। টানা তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করে সিরিজ জয়ের পর ড্রেসিংরুমে বরাবরের মতো উদযাপন করে টিম বাংলাদেশ। আর ওই উদযাপনের ছবি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান কর্মী।
তাতেই খেপে আগুন হন ল্যাঙ্গার এবং দলের ম্যানেজার গ্যাভিন ডোভি। ড্রেসিংরুমের সেই খবর আবার চলে আসে গণমাধ্যমে। যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম মনোমালিন্য। শোনা যাচ্ছিল, এর জেরে চাকরিও হারাতে পারেন ল্যাঙ্গার।
যদিও আপাতত সমস্যা কিছুটা মিটেছে। ল্যাঙ্গারের যতদিন চুক্তির মেয়াদ আছে, ততদিন একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু একটা দলের ভেতরেই যদি এমন ব্যাপার থাকে, তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তো প্রভাব পড়তে বাধ্য!
ল্যাঙ্গার ইস্যুতে তাই চুপ থাকতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়া দল থেকে ছিটকে পড়া ওপেনার উসমান খাজা। হ্যাঁ, খাজাই! ২০১৮ সালে ল্যাঙ্গারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই যিনি পরে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ধারণা করা হয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে খাজা বলেন, ‘জেএলের (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) কেমন লাগছে বুঝতে পারছেন? সম্ভবত তার মনে হচ্ছে দলের ছেলেরা তার পিঠে ছুরি চালিয়ে যাচ্ছে। এমনটাই মনে হচ্ছে।’
বাঁহাতি এই ওপেনার যোগ করেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। দেখতে আসলেই খুব কুৎসিত লাগছে। যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়টির একটা সমাধান করা উচিত।’
দলের ব্যর্থতার দায় শুধু কোচের ওপরই বর্তায় না, উল্লেখ করে খাজা বলেন, ‘ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। এটা সবসময় শতভাগের কোচেরই ব্যর্থতা নয়। ছেলেরা পারফর্ম করছে না। খেলোয়াড়দেরও এর দায়ভার নিতে হবে।’
দিনশেষে খেলাটা একজনের নয়। তাই সমাধানটাও সবাই মিলেই বের করতে হবে মনে করছেন খাজা। তার ভাষায়, ‘ছেলেদের আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। দিনশেষে এটা একজনের ব্যাপার নয়। আমি মনে করি, এই ব্যাপারটাও বোঝা উচিত।’