কুমিল্লার ময়নামতিতে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত লক্ষণ চন্দ্র শীল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। সোমবার বিকালে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান উর্মির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দীতে ঘাতক লক্ষণ চন্দ্র শীল জানিয়েছে দেলোয়ারের নিকট পাওনা ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব করায় সে তাকে হত্যা করেছে। বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল। আদালত ও পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে জেলার মনোহরগঞ্জ থেকে ঘাতক লক্ষণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে বিকালে পিবিআই অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির পাশে মাটির নিচে লুকানো অবস্থা থেকে ভিকটিম দেলোয়ারের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে। তিনি জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। অপর দিকে ঘাতক লক্ষণ চন্দ্র শীল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকার সুধীর চন্দ্র শীলের ছেলে।
পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জানান, দেলোয়ার হোসেনের নিকট সেলুন মালিক লক্ষণ চন্দ্র ৩ লাখ টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে দেলোয়ার বিলম্ব করায় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঘটনার রাতে দেলোয়ার সেলুনে আসলে লক্ষণ তার শরীর প্রায় এক ঘন্টা ধরে মেসেজ করে। রাত গভীর হলে একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বস্তায় ভর্তি করে মরদেহ সেলুনে রেখে সে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকান্ডে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি টিপরা বাজারের একটি মার্কেটে লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে এক সেলুনে কুপিয়ে খুন করা হয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে। শুক্রবার রাতে সেলুনের তালা ভেঙ্গে বস্তাভর্তি অবস্থায় রাখা দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।