কুমিল্লার তিতাসে ট্রলারের ছাদে ডিজে পার্টিতে নাচানাচির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুল ছাত্র শামীম হোসেন (১৪) তিতাস উপজেলার শিবপুর গ্রামের সিএনজি চালক আব্দুল মতিনের ছেলে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভোরে তিতাস নদীর শিবপুর খালের মুখে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। শামীম স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
এর আগে সোমবার রাতে তিতাস নদীতে মাইক লাগিয়ে উচ্চ শব্দে ডিজে পার্টি করার সময় ট্রলারের সঙ্গে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে অন্তত ১৫ কিশোর দগ্ধ হয়। স্থানীয় জেলে ও সাধারণ মানুষ ওই কিশোরদের উদ্ধার করে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন কিশোরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
তিতাস থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া জানান, সোমবার রাতেতিতাস নদীতে ট্রলারের ছাদে নাচানাচির এক পর্যায়ে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে প্রায় ১৫ জন দগ্ধ হয়। এ সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় শামীম হোসেন।
তার মরদেহ ভোরে ভেসে উঠেছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে সে। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক দগ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিতাস থানা ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, তিতাস নদীর দড়িকান্দি ও শিবপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে মেসার্স বাদল সরকার এন্ড সন্স নামের একটি ট্রলারে ২০/২৫ জন কিশোর ডিজে পার্টিতে নাচানাচির করে। ট্রলারটি আটক করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন যাবত উপজেলা প্রশাসন ও তিতাস থানা কর্তৃক এসব ডিজেপার্টির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পুলিশ কিছু জায়গায় অভিযানও পরিচালনা করে।