মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার চার ইউনিয়নের ১৮ গ্রাম। হাসাইল-বানারী, কামারখাড়া, দীঘিরপাড় ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নে পদ্মার রুদ্রমূর্তিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়।
বুধবার উপজেলার কামারখাড়া চৌষা গ্রামে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেখানে হঠাৎ পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ২৫ পরিবারের বসতভিটা। ঠিকানা হারানো পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন নদীর পাড়ে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ নদীতে ফেলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না সেখানে।
স্থানিয় বাসিন্দা তানভীর হোসেন জানান, রাতে হঠাৎ পদ্মার ঘূর্ণিস্রোতের কারণে নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। খোলা আকাশের নিচেই করছেন বসবাস। কোথাও খালি জায়গাও খুঁজে পাচ্ছেন না ঘর উঠানোর জন্য।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, নদীতে পানির স্রোতের কারণে জিওব্যাগ ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। প্রবল স্রোতে জিওব্যাগ ফেলা হলে ভাঙন আরও বেড়ে যেতে পারে। পানি কিছুটা কমে গেলে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হলেও প্রবল স্রোতের কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকায় বিভিন্ন পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।