প্রথম
টি-টোয়েন্টিতে দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ড। সর্বনি¤œ রানের লজ্জায় ডোবার
পর সেই দলটাই দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মিরপুরে। কিন্তু
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। কিউইরা হেরেছে ৪ রানে। আর
বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ২-০-তে এগিয়ে গেলো ৫ ম্যাচের সিরিজে।
অথচ
১৪২ রানের লক্ষ্যে কিউইদের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসী। এর
প্রমাণ দিতে তৃতীয় ওভারে সাকিবের বলে ছক্কাও হাঁকিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র।
কিন্তু পরের বলে আগ্রাসী হতে গিয়েই গড়বড় করে ফেলেছেন তরুণ ওপেনার। বোল্ড
হয়ে রবীন্দ্র ফেরেন ১০ রানে।
তৃতীয় ওভারে মেহেদীর ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি
টম ব্লান্ডেলও। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্টাম্পড হয়ে ফিরেছেন ৬ রানে। পাওয়ার
প্লেতে সেভাবে হাসেনি কিউইদের ব্যাট। তবে পরে নিউজিল্যান্ড আবারও কক্ষ পথে
ফিরে আসে টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংয়ের প্রতিরোধে। কিন্তু সাকিবের ঘূর্ণিতে
শেষরক্ষা হয়নি উইল ইয়াংয়ের। ২৮ বলে ২২ রানে ফিরেছেন তিনি।
এরপরেও আশার
সলতে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ল্যাথাম। অন্যতম ভরসা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে
সঙ্গে করে দলকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৫তম ওভারে সম্ভাবনাময় এই
জুটি ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে একই ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে আউট
হন গ্র্যান্ডহোম। তারপর থেকেই মূলত ধীরে ধীরে ছিটকে যায় কিউইরা।
নিকোলসের
বিদায়ের পর ল্যাথাম শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন যদিও। কিন্তু রান
রেটের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সফল হতে পারেননি। তবে শেষ ওভারে মোস্তাফিজের ভুলে
জয়ের প্রায় কাছেও পৌঁছে যায় সফরকারী দল। পঞ্চম বলে নো বল করে বসেন কাটার
মাস্টার। তাতে ল্যাথাম ব্যাট ছোঁয়ানোয় হয়ে যায় ৪। তখন ২ বলে কিউইদের
প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। কিন্তু মোস্তাফিজের বোলিং নৈপুণ্যেই ল্যাথাম নিতে
পারেন মাত্র ৩। কিউইরা ৫ উইকেটে করতে পারে ১৩৭ রান। ল্যাথাম অপরাজিত ছিলেন
৬৫ রানে। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়।
তবে ল্যাথাম শেষ
ওভারের আগেই ফিরতে পারতেন। সেটি হয়নি কিপার সোহানের মারাত্মক ভুলে!
সাইফউদ্দিনের ১৯তম ওভারে রান-আউটের সুযোগ তৈরি হলেও সোহান আগেভাগে বেল উপড়ে
ফেলায় বেঁচে যান কিউই অধিনায়ক।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। ২৯ রানে দুটি নেন সাকিব আল হাসানও। ১৭ রানে এক উইকেট নাসুম আহমেদের।