জার্মানি এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন নিজেই জানিয়েছেন যে, আফগানিস্তান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে কাতার এবং জার্মানিতে যাচ্ছেন তিনি।
ব্লিনকেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি কাতার এবং জার্মানি সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন। তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রন নেওয়ার পর দেশটির যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তালেবান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সম্পর্ক কেমন হবে সে সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সফরের প্রথমেই কাতারে যাবেন এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক। এরপরেই তিনি জার্মানিতে পা রাখবেন। সেখানে ২০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন।
এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলেন, আফগানদের স্থানান্তর ও পুনর্বাসনে সাহায্য করার দায়িত্ব সবার। এছাড়া তালেবান যেন তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সে বিষয়েও তাদের চাপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, তালেবান চলতি সপ্তাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের সামরিক মিশন শেষ করলেও আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়ার অনুমতি দেবে তারা।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ড অস্টিনও আগামী রোববার বেশ কয়েকটি দেশে সফরের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়বেন। তিনিও সফরের প্রথমেই কাতারে যাবেন। এরপরেই বাহরাইন, কুয়েত এবং সৌদি আরবে যাবেন অস্টিন।
এদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে দেশটি। মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আফগানদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বিশ্ব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে জেনেভা সম্মেলনে যাচ্ছেন।
তবে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের মুখে আফগানদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে রাজি থাকলেও তালেবানকে অর্থ দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে চাইছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে দেশটির নতুন তালেবান সরকারকে সরাসরি অর্থায়নের কোনও সুযোগ রাখা হচ্ছে না। যদিও বিশ্ব নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বৈঠকে বসার বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সহায়তা করার জন্য।