ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
১৩ জেলায় বন্যা, নয় নদীর ২১ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে
Published : Sunday, 5 September, 2021 at 12:00 AM
পানি বাড়ছে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নদীর আশপাশের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। বর্তমানে দেশের ১৩টি জেলা বন্যা আক্রান্ত অবস্থায় আছে। এ ছাড়া নয় নদীর ২১ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকার বড় নদীগুলো পানি নামতে শুরু করায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়া জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী একদিনে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। বর্তমানে দেশের ১৩টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ,বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী ,ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর। বর্তমানে ৯ নদীর ২১ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো হচ্ছে ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তুরাগ, কালিগঙ্গা, পদ্মা, আত্রাই ও ধলেশ্বরী।
তবে আশার কথা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এটি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি কমতে পারে। এর ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়া জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, যমুনা নদীর ৯ পয়েন্টের পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর মথুরা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৩৭, আরিচা পয়েন্টের পানি ৩৮, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টের পানি ৫৯, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৬৮, কাজিপুর পয়েন্টে ৬৭, ফুলছড়ি পয়েন্টের ৪৮, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের পানি ৬৭, পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩১, সাঘাটায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
এদিকে পদ্মা নদীর ৪ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এই নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭৮, সুরেশ্বর পয়েন্টের পানি ১৮, ভাগ্যকুল পয়েন্টের পানি ১৮ এবং মাওয়া পয়েন্টের পানি ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর ২ পয়েন্টের পানি এখন বিপৎসীমার ওপরে। এই নদীর হাতিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ২ এবং চিলমারি পয়েন্টের পানি ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
অন্যদিকে আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টের পানি এখন বিপৎসীমার ৬৮, ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টের পানি ৭৮, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টের পানি ৬১, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টের পানি ১৭, তুরাগ নদীর কালিয়াকৈর পয়েন্টের পানি ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে নতুন করে কালিগঙ্গা নদীর তারাঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে, এই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে এখন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালী স্টেশনে ৬৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া ছাতকে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে উজানে ভারতের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে আইজলে ১৬ মিলিমিটার এবং দার্জিলিংয়ে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।