জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি কেন: আইনমন্ত্রী
Published : Sunday, 5 September, 2021 at 12:00 AM
জিয়াউর রহমান প্রকৃতই মুক্তিযোদ্ধা হলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ কেন নেননি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের এক মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আইন তিনি একথা বলেন।
বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আনিসুল হক বলেন, “যদি খুনি জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হতেন, কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না? কেউ কি তার হাতটা চেপে ধরেছিল যে ২৬ সেপ্টেম্বর এই ইনডেমেনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করা হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করা যাবে না-এই রকম তো কেউ করে নাই। উনি এই বিচারটা করলেন না কেন?
“এই সংবিধান বলেন... আর সংবিধান যদি নাও ধরেন এইটা জনগণের সিআরপিসিতে অধিকার- কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিজিউরে অধিকার, যে একটা হত্যাকাÐ যদি সংঘটিত হয় বা একটা অপরাধ যদি সংঘটিত হয় সে থানায় গিয়ে একটা এজাহার দায়ের করতে পারে। সেই অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছিলেন, ২১ বছর এটাও কারেক্ট করেন নাই। আর আজকে আপনি বিএনপির সংসদ সদস্য হয়ে বলছেন, যে এই তর্কবিতর্ক বন্ধ হোক।”
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানুক বা না মানুক, তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ তিনি যে বাঙালি জাতির পিতা সেটা এই জাতি জানে এবং সেটা চিরদিন সংরক্ষিত রাখবে।
আইনপ্রণয়ন কার্যবলীর শুরুতে সংসদীয় আসন সীমনা নিয়ে একটি বিলের আলোচনার সময় সামরিক আমলের জারি করা আইনগুলোর নতুন করে প্রণয়নের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরায় আপত্তি করেন হারুন।
পরে আরও দুটি বিলের আলোচনায় আইনমন্ত্রী ও হারুন একে অপরের বক্তব্যের জবাব দেন।
বার কাউন্সিল আইস পাসের সময় ‘বিচারকরা দলীয়’ বলে মন্তব্য করেন হারুন। পরে তা আইনমন্ত্রীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপাঞ্জ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।