যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমলেও বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ কমেনি। এখনো হাজার হাজার বসতভিটা পানির নীচে রয়েছে। অনেকে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানি মধ্যে মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিতদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
কাজকর্মহীন কৃষক, তাঁত শ্রমিকরা পরিবার পরিজন কষ্টে দিনযাপন করছে। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁত কারখানায় পানি ওঠায় তাঁতিরাও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যা কবলিতরা সংকট কাটাতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কামনা করেছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, যমুনার পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমে বিপদসীমার ৪৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।