গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ আগের কেন্দ্রেই: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
Published : Monday, 6 September, 2021 at 12:00 AM
গণটিকার আওতায় টিকাগ্রহীতা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজও সেই কেন্দ্র থেকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া শুরু হবে।
গত ৭ থেকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত সারাদেশের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, সিটি করপোরেশন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মস‚চি চলে। এ কর্মস‚চির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর-এমএনসিঅ্যান্ডএইচ ডা. মো. শামসুল হক। তিনি বলেন, “ক্যাম্পেইনের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা রোববারই সারাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।
“সেই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে একইভাবে এবং একই কেন্দ্রে দেওয়া হবে। আমরা দেশবাসীকে জানাচ্ছি এ ক্যাম্পেইনের সময় যারা যেই কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা সেই কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেবেন।”
এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাম্পেইনের সময় যে টিকা কার্ড দেওয়া হয়েছিল অথবা রেজিস্ট্রেশেনের প্রিন্টেড ফরম নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী নারীরা নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন। বাড়ির নিকটবর্তী কেন্দ্র থেকে তারা টিকা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে মোবাইলে এসএমএস না এলেও টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
বুলেটিনে বলা হয়, “তিনি যে কেন্দ্রে নিবন্ধন করেছেন সেই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড, এএনসি কার্ড বা একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শপত্র (যেখানে উল্লেখ থাকবে তিনি একজন গর্ভবতী নারী) দেখাবেন। সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে টিকা নিতে পারবেন।”
সংবাদ বুলেটিনে ডা. শামসুল হক জানিয়েছেন, জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সুবর্ণ কার্ড ব্যবহার করে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
“এই কার্ড ব্যবহার করে তারা যেন টিকা নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুবর্ণ কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে তারা নিবন্ধন করতে পারবেন। আমাদের নতুন একটা উইন্ডো ওপেন হবে। তবে এক্ষেত্রেও বয়সসীমা ১৮ বছরের উর্ধ্বে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন মোট ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৩০৯ জনকে।