নিজস্ব
প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪৩০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোবাবর সকাল
পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫
লাখ ১৪ হাজার ৪৫৬ জনে। আর তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৫৬৩ জনের।
শনিবার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৭৩৭ জন নতুন রোগী
শনাক্তের কথা জানিয়েছিল, যা ১২ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর মৃত্যু হয়েছিল
৬১ জনের, ১১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন । সেই হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই বেড়েছে।
তবে গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার
বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা
বিবেচনায় শনাক্ত ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আগের দিন যা ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ ছিল।
শুধু
ঢাকা বিভাগেই ১ হাজার ৫৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে যা
দিনের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি। যে ৭০ জন গত এক দিনে মারা গেছেন,
তাদের ৩১ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৫ হাজার ৬০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা
ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করে এসে ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ
পেরিয়ে যায়। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী
শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার
ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা
মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের
সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ২
লাখের বেশি রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট
২৫ হাজার ১৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪
হাজার ১৫টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার
দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত একদিনে
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩২ জন বাদে চট্টগ্রাম বিভাগের ২০
জন, রাজশাহী বিভাগের ৩ জন, খুলনা বিভাগের ৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জন,
সিলেট বিভাগের ৬ জন, রংপুর বিভাগের ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন
১ জন।
মৃত ৬১ জনের মধ্যে ৪২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৪ জনের বয়স
৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৩১
থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের
মধ্যে ৫০ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ১৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা গেছেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জন মারা গেছেন বলে
জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।