শিক্ষা থেকে ঝরে পড়াদের আত্মকর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
Published : Tuesday, 7 September, 2021 at 12:00 AM
দেশের ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয়বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশু এবং ১৫ বছরের বেশি ?বয়সী নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের আয়বর্ধক আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বাজার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক শিক্ষাসহ দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে জীবনব্যাপী শিক্ষা কর্মসূচি ডকুমেন্ট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঝরে পড়াদের সাক্ষরতা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। ’
মো. জাকির হোসেন বলেন, ৩৩ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া, মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নব্যসাক্ষরকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা দিতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩১১টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০টি জেলার ১১৪টি উপজেলায় ৩৫ হাজারটি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতাজ্ঞান কার্যক্রম বাস্তবায়নের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই শিখন কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সকল শিশুর জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)’ বাস্তবায়ন করছে। দেশের ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।