‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সব ক্ষমতা বিটিআরসির নেই’
Published : Tuesday, 7 September, 2021 at 12:00 AM
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সব ক্ষমতা বিটিআরসির নেই। আমাদের অনেক ক্ষমতা রয়েছে, আইন সে ক্ষমতা দিয়েছে কিন্তু সেই ক্ষমতার মধ্যেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কনটেন্ট এবং আনুষঙ্গিক বিষয়’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব কিছু বন্ধ করতে পারি না। এখানে তাদের অফিস নেই। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন লিংক, ভিডিও ইত্যাদি বন্ধ করতে অনুরোধ পাঠাতে হয়। কিছু অনুরোধ তারা রাখে, কিছু অনুরোধ রাখে না। এ দেশে তাদের অফিস থাকলে বাধ্য করা যেত।’
এর আগে বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনের মাধ্যমে সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ায়, এ কেন্দ্রিক অপরাধও বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক সব কনটেন্ট প্রযুক্তিগত কারণেই অপসারণ করা সম্ভব হয় না।
বিটিআরসি’র সক্ষমতার কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সীমানার মধ্যে ওয়েবসাইটগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা গেলেও সামাজিক মাধ্যমগুলোর সব লিংক পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয় না। কারিগরি অনেক বিষয় এখানে জড়িত। তিনি মনে করেন, সমস্যা যা হলো ওদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে। ওদের কাছে যা স্ট্যান্ডার্ড তা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড মনে নাও হতে পারে বা আমাদের সমাজ সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। এটাই ফেসবুক বুঝতে চায় না।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এখন আমাদের নিয়মিত কথা হয়? তারা এখন দ্রুত সাড়া দেয়, যা আগে ছিল না উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে বিষয় বন্ধ করার সক্ষমতা বিটিআরসি’র নেই, সে বিষয়ে আমাদের দায়ি করা হলে তা অবিচার হবে।
মন্ত্রী জানান, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম ও সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স’র (সিটিডিআর) মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি পর্নো সাইট ও অনলাইন জুয়ার সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমরা দেশ ও জাতি- সবার প্রয়োজনেই কাজ করছি। আমাদের কাজটা প্রযুক্তিনির্ভর। সেটা বুঝতে হবে। কারণ প্রযুক্তিরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, পরীমণি ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং ডা. সাবরিনা ও আরিফ চৌধুরীর ব্যক্তিগত ভিডিও অপসারণ করার বিষয়ে কেউ বিটিআরসিতে আবেদন করেনি। যদিও এরই মধ্যে ফেসবুকের কাছে ৫০টি এবং ইউটিউবের কাছে ৩৫টি লিংক সরানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।