ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে ইসরাইল দুই মাসের মধ্যে দেশটিতে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে। দেশটির সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইসরাইলের সেনাপ্রধান বলেন, অসংখ্য গোয়েন্দা, অভিযান সক্ষমতা এবং ব্যাপক সমরাস্ত্র নিয়ে কাজ নিঃসন্দেহে জটিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের মিত্রদের থামানোর জন্য ইসরাইল কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ইসরাইলের সেনাপ্রধান আভিভ কোহাভি বলেন, আসল বিষয় হলো মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি কমানো। তবে তারা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বেনি গ্যান্টজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামাতে প্লান-বি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তার অনুমান, পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা থেকে ইরান আর মাত্র ২ মাস দূরে আছে। তার এই কথা থেকে ধারণা করা হচ্ছে ৬০ দিনের মধ্যে ইসরাইল ইরানে হামলার পরিকল্পনা করছে।
এদিকে মঙ্গলবার কাতারে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধান লয়েড অস্টিন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক কর্মকাণ্ড উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদে ইরানের সমর্থন, রাষ্ট্রহীন গোষ্ঠীদের প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ আঞ্চলিক স্থিতিশলীতা বিনষ্ট করছে। মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তেহরান ইতোমধ্যে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে তারা ২০১৫ সালের পরমাণু কর্মসূচি চুক্তি মানবে না। ওই চুক্তিতে, ইরান সীমিত মাত্রায় পরমাণু সমৃদ্ধ করতে পারবে বলে শর্ত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ইরান পরমাণু কর্মসূচি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, পরমাণু অস্ত্র চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইরান বিশ্ব শক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নত হয়ে তেহরান কখনও আলোচনায় বসবে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, আমাদের এজেন্ডায় সংলাপ রয়েছে। আমরা লক্ষ্যভিত্তিক সমঝোতা চাচ্ছি। এর জন্য ইরানের জনগণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।