করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ আবারও বাড়লে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায়
বন্ধের সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
“সংক্রমণের
সঙ্গে সবকিছুই জড়িত। সংক্রমণ কমেছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলেছে। যদি দেখি
আমাদের এখানে সংক্রমণের হার আবার বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। তখন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় তো নেবেই। আমরাও
সেভাবেই পরামর্শ দেব। আমরা চাইব না আমাদের ছেলেমেয়েরা সংক্রমিত হয়ে যাক।”
মহামারীর
শুরুতে গতবছরের মার্চে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
প্রায় দেড় বছর পর আগামী রোববার থেকে আবার সব স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার
প্রস্তুতি চলছে এখন।
বছরের শেষভাগে এসএসসি ও এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চমের
প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিস এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক
পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা
দেওয়া নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও ১৮ বছরের নিচে কোভিড টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেয়নি,
যদিও কিছু দেশ নিজেদের সিদ্ধান্তে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দিচ্ছে।
“পৃথিবীর
খুব বেশি দেশে এই বয়ষের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। দুয়েকটা দেশে
টিকা দেওয়া হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে, দেখার জন্য যে কী ফলাফল আসে। আমরাও নীতি
অনুসরণ করছি। আমরা ডব্লিইএইচওর সঙ্গে আলোচনা করছি, যখন তারা অনুমতি দেবে,
তখন আমরা টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
শুক্রবার বেলা দশটায় ঢাকার তিনটি
কেন্দ্রে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশের আটটি কেন্দ্রের অধীনে
২২টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়।
দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে
৫৪৫টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৪০৫টি আসনে
এবার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের পিছিয়ে যাওয়া মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষা এ বছর নেওয়া হল।
গত
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যেই ২
এপ্রিল সারাদেশের এমবিবিএস কোর্সের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়।
তবে সংক্রমণের
দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং ডেন্টাল ইউনিটের
৩০ এপ্রিলের নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়, যা শুক্রবার নেওয়া হল।