ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চৌদ্দগ্রামে কালভার্টের মুখ ভরাট করে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি
Published : Thursday, 16 September, 2021 at 12:00 AM
জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা---মজিবুর রহমান বাবলু, চৌদ্দগ্রাম ||কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা-কাদৈর সড়কের উপর নির্মিত কালভার্টের মুখ ভরাট করে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ফটিক মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই কালভার্টের নিচ দিয়ে শত বছরের পুরাতন সরকারি ‘লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত মহালের’ খালের পানি প্রবাহিত হতো। ব্রিজের মুখ বন্ধ হওয়ায় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সলাকান্দি ও তুলাপুস্করণী গ্রামসহ আশে-পাশের কৃষিজমি এবং বাড়িঘরে জলাবদ্ধতাসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জনস্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে কুমিল্লার সিনিয়র আয়কর আইনজীবী তুলাপুস্করণী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদ তালুকদার এলাকাবাসীর পক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত (গণস্বাক্ষরকৃত) অভিযোগ দাখিল করেছেন।
প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দাখিলকৃত অভিযোগ পর্যালোচনা ও সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, ঘোলপাশা ইউনিয়নের সলাকান্দি মৌজার (সাবেক জেএল-৭৮, ১৩৬ এবং বিএস জেএল নং-১৪৬) সিএস-১নং খতিয়ানভুক্ত ২৯৮ দাগের ‘লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত মহালের’ খালের মধ্য দিয়ে বৃটিশ আমল থেকে এলাকার সলাকান্দি মৌজার উত্তর দিকে অবস্থিত তুলাপুস্তরণী মৌজার দক্ষিণ পশ্চিমাংশে (বিএস জেএল নং-১৪৫) বর্ষা মৌসুমের পানি নিস্কাশিত হতো।
পানি নিস্কাশন ও জনস্বার্থে ৯০ এর দশকে ওই খালের উপর সরকার একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেন। ৯৬ সালে তৎকালিন আ’লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মুজিবুল হক এমপি উক্ত খাল তথা কালভার্টের উপর দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন। যা আমানগন্ডা-কাদৈর সড়ক নামে পরিচিত।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, সলাকান্দি গ্রামের ধান চাউলের আড়তধার ব্যবসায়ী প্রভাবশালী ফরিদ উদ্দিন ওরফে ফটিক মিয়া সিএস-২৯৮ দাগের সিএস ১নং খতিয়ানের সরকারি খালের জায়গায় অপকর্মের মাধ্যমে বিএস-২৪০নং খতিয়ান সৃজন করে উক্ত সিএস ২৯৮ দাগে ‘খিল’ নামীয় জমির প্রকৃতি দিয়ে (বিএস দাগ-২৮২) উক্ত পানি নিস্কাশনের লাখেরাজ বাজেয়াপ্ত মহালের খালের উপর দিয়ে নির্মিত কালভার্টের মুখ ভরাট করে অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া প্রদান করেন। প্রভাবশালী ফটিক মিয়ার অনৈতিক ও জনস্বার্থের পরিপন্থি কাজে প্রতিবাদ করলেও তিনি এলাকার বাসিন্দাদের সবতবাড়ি ও ফসলি জমি জমিতে বর্ষা মৌসুমের পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা করে দেননি।
খালের উপর নির্মিত সরকারি কালভার্টের মুখ ভরাট করার কারণে এলাকার তুলাপুস্করণী মৌজার দক্ষিণ পশ্চিমাংশের এবং সলাকান্দি জিসি হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলের বর্ষা মৌসুমের পানি নিস্কাসিত না হওয়ার ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি এবং এলাকার জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অভিযুক্ত ফটিক মিয়া জানান, ৩০-৩৫ বছর আগে জনৈক যৌবন আলী থেকে ২৯৮ দাগে(যদিও তিনি স্পষ্ট কোন খতিয়ানের বলতে পারেননি) সোয়া গন্ডা জায়গা ক্রয় করি। এখানে খালের জায়গা আছে বলে আমার জাানা নেই। আমি ক্রয় সূত্রে মালিক।
স্থানীয় জনগণ জলাবদ্ধতা নিরসনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জনস্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।