তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়া কঠিন। বল পেলেই প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে হানা দেওয়া কিংবা সতীর্থদের দিয়ে গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা তার। সোজা কথায় মাঝমাঠে সৃষ্টিশীল এক ফুটবলার রাফায়েল অগাস্তো। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে নিজেকে অন্যভাবে চিনিয়েছেন তিনি। আবাহনী লিমিটেডের এই ব্রাজিলিয়ান মাঠজুড়ে খেলেছেন। দেখিয়েছেন সাবলীল পারফরম্যান্স। আগামী মৌসুমেও আকাশি-নীল জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে অগাস্তোকে।
শুরুর দিকে ফিটনেস সমস্যার কারণে নিজেকে মেলে ধরতে কষ্ট করতে হয়েছে অগাস্তোর। ধীরে ধীরে নিজের জাত চিনিয়েছেন। আবাহনীর একের পর এক জয়ে ভূমিকা রেখেছেন অগ্রণীতে থেকে। জুয়েল রানা-বেলফোর্টদের কোনও সময় বল বানিয়ে দিয়েছেন। আবার নিজেও করেছেন।
তাকে নিয়ে আবাহনী কর্তৃপক্ষও সন্তুষ্ট। যার প্রমাণ মেলে সামনের মৌসুমের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলা। নতুন মৌসুমেও ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে খেলবেন, এটা জেনেই লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন অগাস্তো। নিজের ছাপ রাখার জন্য এর চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। এই ব্রাজিলিয়ান অসাধারণ পারফরম্যান্সে জানান দিলেন, নতুন মৌসুমের চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত।
আবাহনী তার প্রতি যে আস্থা রেখেছে, ভালোবাসার প্রদর্শনীতে রেখে দিয়েছে সামনের মৌসুমের জন্য, সেই আস্থা-ভালোবাসার জবাব দিলেন অগাস্তো শেষ ম্যাচে এসেও। তারই নেওয়া ক্রসে তপু বর্মণ আত্মঘাতী গোল করেছেন। এছাড়া মাঠেও পুরো সময়জুড়ে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। এমন সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডারকে কে না চাইবে দলভুক্ত করতে!
আবাহনীও তার ওপর আস্থা রেখে আগামী মৌসুমের জন্য রেখে দিয়েছে। দলটির ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা আগামী মৌসুমের জন্য অগাস্তোকে রেখে দিয়েছি। ওই এখন পরযন্ত একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে থাকছে। অন্য ক্লাব থেকে অফার থাকা সত্ত্বেও অগাস্তো আমাদের ক্লাবেই থেকে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।’