কুমিল্লার মুরাদনগরে নাছির মিয়া (৩৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক স্থানে দুইজনের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত নাছির মিয়া পাশের উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের আ. আওয়ালের ছেলে। গুরুতর আহত গাড়ি চালক জসিম উদ্দিন মুরাদনগর উপজেলার নগর পাড় গ্রামের মৃত খোরশেদ ড্রাইভারের ছেলে। অপরজন গকুলনগর গ্রামের জয়দল হোসেনের ছেলে সেন্টু মিয়া।
আহতদের মুরানগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা টাওয়ারে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে রাতের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আ. আউয়াল বলেন, লোক মারফত জানতে পেরেছি আমার ছেলেকে একটি সাটার বিহীন দোকান ঘরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জসিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ‘স’ মিলের পশ্চিম পাশ-নবীনগর রোড হয়ে বাড়ি আসার পথে পেছন থেকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে টান দেয়। এতে জসিমের গলা ও হাতের রগ কেটে যায়।
১৪নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, আচমকা এমন ঘটনায় আমি বিস্মিত। জসিম আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার ছোট ভাই ওয়াসিম আমাকে খবর দেয়। তখন রাত প্রায় ১১টার উপরে হবে। আমি জসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার গাড়ি দিয়ে মুরাদনগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে হত্যা করার ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে মামলা হয়েছে। দুইজন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।