তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
গত ১৯ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি। ডেঙ্গু আক্রান্ত
হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবশেষ যারা কুমেকে হাসপাতলে ভর্তি
হয়েছেন তার মধ্যে দুই জন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এবং একজন বরুড়া উপজেলার। জেলা
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সব উপজেলা মিলিয়ে মোট
ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা ৫১। গত ৯ মাসে যে ৬৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এর
মধ্যে ৫১ জনই এই ১৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন মীর
মোবারক হোসাইন জানান, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সিটির পাশাপাশি
উপজেলাগুলোতেও ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে। সিটি মেয়রসহ বিভিন্ন উপজেলা
চেয়ারম্যানগণকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে- মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করার
জন্য। এছাড়া জেলা ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, বরুড়ায় ৯ জন, চৌদ্দগ্রামে ৮ জন, আদর্শ সদর-
নাঙ্গলকোট-হোমনায় ৫ জন করে , সদর দক্ষিণ ও মনোহরগঞ্জ ৩ জন করে,
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ও লালমাইয়ে ১ জন করে,
মুরাদনগর-দাউদকান্দি-লাকসাম-দেবিদ্বার-চান্দিনায় ২ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত
রোগী সরকারিভাবে তালিকাবদ্ধ হয়েছেন।
জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. নিসর্গ মেরাজ
চৌধুরী বলেন, টানা জ্বর, শরীর ব্যাথা, রেশ থাকলে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা
প্রয়োজন। কখনো কখনো ডায়রিয়াও হতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ ডেঙ্গু
রোগীর কেস স্টাডি করে জানা গেছে বেশির ভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসছেন।
সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার জানান, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সাধারণ
মানুষকেই বেশি সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করা এডিস মশার লার্ভা
পরিষ্কার-স্বচ্ছ এবং জমে থাকা পানিতেই জন্মায়। যে কারণে বাড়ির আশেপাশে,
টবে, নির্মানাধীন স্থাপনায়, ডাবের খোসা, পরিত্যাক্ত কৌটায় যেন পানি জমে না
থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।