ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আমার শহর ‘কুমিল্লা’
Published : Tuesday, 21 September, 2021 at 12:00 AM
আমার শহর ‘কুমিল্লা’শান্তিরঞ্জন ভৌমক ।।
পর্ব-১২
    আমার শহর ‘কুমিল্লা’কে আমি কেন এত ভালোবাসি, তার তেমন কোনো ব্যাখ্যা নেই। সন্তান মাকে ভালোবাসে কি জন্য? মা দশমাস দশদিন উদরে (গর্ভে) ধারণ করে সন্তানকে জন্ম দিয়ে প্রতিপালন করে বড় করেছেন বলে কি কৃতজ্ঞচিত্তে মাকে ভালোবাসে? না, তা কোনো রক্তের দায়ের জন্য? এসব কথা অবশ্যই বাতুলতা। মা সন্তানকে অথবা সন্তান মাকে ভালোবাসে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। তদ্রƒপ মাতৃভূমি তিনিও তো মা-ই, তাকে ভালোবাসার কোনো শর্ত নেই, কার্যকারণও নেই।
    জন্মের পর মাকে আঁকড়ে ধরেছি, অপরদিকে জন্মভূমিকে বুকে লালন করেছি। জন্মস্থান ও মৃত্যুস্থান এক স্থান নয়, তারপরও মরণশীল মানুষ মৃত্যুস্থানটি মনে মনে নির্ধারণ করে বলে- আমার মৃত্যু যেন এস্থানে হয়। জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বার বার পরপারকে দেখতে চেয়েছি, কিছুই দেখা যায় না। মৃত্যুর পর বলতে যা বুঝায় তা প্রহেলিকা। জানি না। তবে মৃত্যুটা যেন আকাক্সিক্ষত স্থানে হয় এরূপ একটি বাসনা তো থাকে? যেমন-আমার মৃত্যু আমার শহর ‘কুমিল্লা’য় হোক এমনটিই মনে মনে ভেবে রেখেছি। কেন? এই ‘কেন’-র উত্তর দীর্ঘদিন খুঁজছি।
    আমি শহর ‘কুমিল্লা’য় তিনটি বিখ্যাত পরিবারের সান্নিধ্যে-দীর্ঘদিন ছিলাম। আমার ছাত্রজীবন শহরের ছাতিপট্টি সুপারিবাগানে গুহপরিবার। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। এ বাসা থেকে কলেজে পড়াশোনা ও পরে আপন বাড়ি হিসেবে বসবাস এবং ১৯৭০ সালে মে মাসে বিয়ে অনুষ্ঠান এ বাসায়ই হয়েছে। এ বাসা থেকেই ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি যদিও তখন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া ডিগ্রি কলেজে চাকরি করতাম, আমার স্ত্রী সুপারিবাগানে গুহপরিবারের সঙ্গে থাকত। ২৫ মার্চও আমি এ বাসায়ই ছিলাম। ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল ১৯৭১ আমি তখনকার কুমিল্লার অবস্থা কিছুটা দেখেছি, অনেকটা শুনেছি। সবচেয়ে ভীতিকর বিষয় ছিল, ২৬ মার্চ ১৯৭১ রাত্রে সুপারিবাগান থেকে কে,ডি,রায়, গুপ্ত জগন্নাথবাড়ি থেকে প্রিয়লাল ঘোষ, কানাইলাল ধর, গোয়ালপট্টি থেকে নিহাররঞ্জন সরকার, দিগম্বরীতলা থেকে সাহা মেডিকেল হলের মালিক নিতাই সাহা, নানুয়াদিঘির পূর্বপাড় থেকে অনাথবন্ধু কর্মকারের জ্যেষ্ঠ ছেলে (নাম মনে করতে পারছি না), উত্তরপাড় থেকে রাজগঞ্জের ন্যাশনাল মেডিকেল হলের মালিক মনমোহন সাহা সহ আরও কয়েকজনকে পাকহানাদার বাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ময়নামতি সেনানিবাসে নির্মম অত্যাচারের পর হত্যা করে। ২৮ মার্চ রাজগঞ্জ চৌমোহনায় পাশে জ্ঞানভান্ডার থেকে হিরণ সাহাসহ কয়েকজন কাস্টমারকে চৌমোহনায় হত্যা করে ফেলে রাখে। শুনতে পাই ঐদিন বর্তমান পূবালী চত্বরে এম,সি,রায়, ফণীন্দ্র সাহা সহ কয়েকজনকে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখে ত্রাস সঞ্চারের জন্য। যাঁদেরকে হত্যা করা হয়, তাঁরা সকলেই ছিল হিন্দুসম্প্রদায়ভুক্ত। পাকিস্তানে হিন্দুরাই ১নং শক্র হিসেবে বিবেচিত হতো। যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদেরকে কিন্তু পাক-হানাদার বাহিনী চিনত না। তাঁদের নামের তালিকা যিনি বা যারা তৈরি করে সরবরাহ করেছে, তাদের নাম পরে অপ্রকাশিত থাকেনি। তাদের বংশধররা বর্তমানে অনেক শক্তিধর। সুতরাং জানা সত্ত্বেও কেউ মুখ দিয়ে নাম উচ্চারণ করতে সাহস করে না।
    আমি যখন ১৯৭২ সালে ১৫ ডিসেম্বর মহিলা কলেজে যোগদান করি, সেদিনই দিগম্বরীতলা সাহা মেডিকেল হলের মালিকের (শহিদ নিতাই সাহা) বাসা ভাড়া নিই। এই বাসায় ১১ বছর ৭ মাস ছিলাম। পরে ঠাকুরপাড়া স্বর্গীয় কামিনীকুমার চন্দের বাসা ভাড়া নিই। তাঁর বাসায় ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত থাকি। ১৯৮৩ সালে কামিনীবাবু আমাকে না জানিয়ে চারশতক জায়গা রেজিস্ট্রারি করে দেন এবং অতি কষ্টে আশিহাজার টাকা পরিশোধ করি। ১৯৮৭ সালে পরে ঐ জায়গা পরিবর্তন করে তাঁর কাছ থেকে পাঁচশতক জায়গা একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় খরিদ করি। আগের চারশতক একলক্ষ পঁচিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিই এবং নতুন জায়গায় ঘর করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকি এবং এখন আমার বাসস্থান বলতে এই বাড়ি- নাম ‘আশালয়’। গুহপরিবারের বাড়িটি ছিল চার একরের বেশি, এখন কতিপয় ব্যক্তি ক্রয়সূত্রে জমিতে বাড়ি করেছেন, অধিকাংশ জায়গা অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়ের অধীনে। গুহপরিবারের কোনো বংশধর এখন বাংলাদেশে নেই। অন্যদিকে দিগম্বরীতলা স্বর্গীয় নিতাই সাহার ঔষধের দোকান, এককালের কুমিল্লার সর্ববৃহৎ ঔষধের দোকান ‘সাহা মেডিকেল হল’ সহ বাড়ি সমেত বিক্রি করে পরবর্তী প্রজন্ম ভারতে চলে যায়। ঠাকুরপাড়ার জমিদার বলতে কামিনীকুমার চন্দেরও ছিল প্রায় ১০একরের মতো জায়গা-পুকুর। তা নানা কারণে বিক্রি করতে করতে এখন তাঁর জীবিত দু’সন্তানের ও মৃত বড় ছেলের-১২ শতক জায়গা ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। তাঁর জায়গায় এখন ৩২ জন মালিক, ভাড়াটিয়াসহ ১৪২টি পরিবার বাস করে।
    যে তিন পরিবারের সংস্পর্শে আমি ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ছিলাম, তাদের স্থিতি এবং অর্থবিত্ত ও প্রভাব যেমন দেখেছি, আবার তাঁদের পরিণতিও দেখেছি। এভাবে অনেকের উত্থানও দেখেছি। এ অভিজ্ঞতা একেবারে ফেলনা নয়।
    মহিলা কলেজ ছিল বেসরকারি। সরকারি হওয়ার ২/৩ বছর আগে কলেজের আর্থিক অবস্থা সংকটে পড়ে। মহিলা কলেজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-যদি ১ম বর্ষে ছাত্রী ভর্তি হয় ৫০০জন, দ্বিতীয় বর্ষে হয়ে যায় ৪০০ জন। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২৫০/৩০০জন। অন্যরা যায় কোথায়? নানা কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষত বিয়ে হয়ে যায় অনেকের, আবার অভিভাবকেরা মনে করেন, মেয়েরা অন্য ঘরে চলে যাবে। সুতরাং অনর্থক লগ্নি লাগিয়ে লাভ কি? তখন আমি আর্থিকভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়ি। টিউশনি করি, নোটবই লিখি এবং কর্ণফুলী প্রেসের মালিক মরহুম আবদুল হালিম সরকারের সঙ্গে মাধ্যমিক শ্রেণির জন্য প্রশ্নের ব্যবসা শুরু করি। পরে তাঁর কাগজের দোকানেও বসে ম্যানেজারগিরি করেছি। অনেকে মনে করতেন ‘বাংলাদেশ পেপার হাউজে’র মালিক আমি। এই সূত্রে স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষগণ কাগজ ক্রয় করতে ও কর্ণফুলী প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ছাপতে আসতেন। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে উঠে। এ ধারার উত্তাপ এখনও যাপন করি।
    এই কাগজের দোকানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল গুণিজনের সম্মিলন ও আড্ডা এবং নির্মল সাহিত্যচর্চা। এগুলো অবশ্যই আমার শহর ‘কুমিল্লা’ জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ।
    কুমিল্লা মহিলা কলেজ যখন বেসরকারি ছিল, আমরা যাঁরা অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকতা করতাম, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল আত্মীয় ও আপন জনের মতো। এখনও সেসময়কার সহকর্মিদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। সুখ-দু:খের অংশীদার হই এখনও।
    একসময় কুমিল্লার রামকৃষ্ণ আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাই। কমিটির সম্পাদক ও মিশন হওয়ার পর সভাপতি হওয়ার ফলে শহরের হিন্দুসাধারণের কাছে আমি পরিচিতি লাভ করতে সমর্থ হই। একদিকে শিক্ষক, অন্যদিকে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বর্তমানে পত্রিকার কলামিস্ট হওয়ার ফলে শহর কুমিল্লায় আমার একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং নানাকারণেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার আসরে আমার ক্ষীণ পরিচয় রয়েছে। একি আমার মতো একজনের জন্য কম ভাগ্যের কথা?
    আমি কর্ণফুলী প্রেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে মনোহরপুর শক্তি ঔষধালয়ের পাশে সুচিত্রা স্টুডিওতে আড্ডা দিতাম। স্টুডিওর মালিক স্বর্গীয় অনাথবন্ধু দাশ দিলেন আড্ডা প্রিয় সজ্জনব্যক্তি। মিঞাবাজার স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হারাধন ঘোষ, ভিক্টোরিয়া স্কুলের শিক্ষক কবি সুভাষ পাল, বার্ডের কর্মকর্তা সঞ্জীবন চক্রবর্তী, মধুসূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ সন্ধ্যায় আড্ডা দিতাম। অনাথবাবু পান খেতেন, আস্তে আস্তে আমিও অভ্যস্ত হয়ে উঠি এবং একসময় সাদাপাতা (তামাকের পাতা) দিয়ে নিয়মিত পান খাওয়া শুরু করি, এ ব্যবস্থা বাসা পর্যন্ত মহাসমারোহে স্থায়ী হয়ে যায়। তবে একটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক (১৯৮৪) পান খাওয়া বন্ধ করে দিই। তা অন্য প্রসঙ্গ। তখন মাঝে মাঝে ধূমপানও করতাম। এসব নেশা ১৯৮৪ সালে একেবারে ত্যাগ করি। খাব না, সুতরাং খাব না- এ দৃঢ়তায় আমি নিজেই অবাক। দিনে ২০/২২টি পান খেতাম তামাকের পাতা দিয়ে, না খেলে ভাত হজম হতো না। আসলে মনের জোরই আত্মশক্তি। ১৯৮৬ সালের পর কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের নীচে ডা: বঙ্কিমচন্দ্র নাথের হোমিও চেম্বারে অনেকদিন আড্ডা দিয়েছি। স্বর্গীয় গোপালধর (প্রমোদরঞ্জন ধর, পাপড়ি বসুর পিতা), শ্রী সুখেন সাহা, ধীরেন্দ্রচন্দ্র দাস, স্বর্গীয় মহিমাচন্দ্র পাল প্রমুখ ছিলেন আড্ডাখানার সদস্য।
    কুমিল্লার সঙ্গে আমার মাটির টান তো আছেই। তবে শহর কুমিল্লায় অনেক গুরুজনের স্নেহ পেয়েছি, বন্ধুবান্ধব-সুহৃদের ভালোবাসা পেয়েছি, একজীবনের জন্য বিশেষত আমার জন্য অনেক। হিসাব করে দেখেছি সর্বক্ষেত্রে ঋণী হয়ে গেছি শহর কুমিল্লার মাটি ও মানুষের কাছে।
মাতৃস্থানীয় অধ্যাপিকা সুধা সেন, অমিতা ভদ্র (বাঁশরী ভদ্রের মা), মীরা বধর্ন (ডা: মেজর আর,এন,বর্ধনের স্ত্রী), আশালতা ভট্টাচার্য, সুরুচি সাহা, ঊষা রাহা, মায়া ধর (পাপড়ি বসুর মা), তালপুকুর পাড়ের সিংহ পরিবার, ভূপেন ধরের পরিবারসহ অনেকের স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। শহর ‘কুমিল্লা’য় বাস করার ফলেই আমার জীবনের এসব অনন্য প্রাপ্তি।
    আমার শহর ‘কুমিল্লা’য় রয়েছে মহারাজা নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মনের ৬০ বিঘা বিশিষ্ট রাজবাড়ি, আছে বিখ্যাত নবাব হোচ্ছাম হায়দর চৌধুরীর নবাব বাড়ি, সাধনপীঠ ঐতিহাসিক দারোগাবাড়ির মাজার ও বিষ্ণুপুর লেংটাপীরের মাজার, রানীর কুঠি, শহরের উপকণ্ঠে অর্থাৎ কোটবাড়িতে আছে শালবন বিহার, আন্তর্জাতিক মানের বার্ড, ঐতিহাসিক মূড়াসমূহ, ক্যাডেট কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ, ল্যাবোরেটরি স্কুল, এইচএসটি এবং জাদুঘর। একটু পাশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আবার শহরের পশ্চিমপার্শ্বে রয়েছে রেললাইন, শিক্ষাবোর্ড আছে, নজরুল ইন্সটিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি, নান্দনিক পুলিশ লাইন, কেন্দ্রিয় কারাগার। এসকল প্রতিষ্ঠান অতীত থেকে এগিয়ে বর্তমানকে স্পর্শ করেছে, শুধু নেই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক-যা শহর কুমিল্লাবাসীকে পীড়া দেয়। আমাদের আছে ঐতিহ্যবাহী বীরচন্দ্র নগরমিলনায়তন, যার প্রতিচ্ছবি শহর কুমিল্লাকে প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে। যেমন কার্জন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে, হযরত শাহজালালের মাজার সিলেটকে, বার আউলিয়ার মাজার চট্টগ্রামকে, আহসান মঞ্জিল বা লালবাগ কুঠি ঢাকাকে ইত্যাদি স্মারক দিয়ে অনেক স্থানকে চিনতে ভুল করে না কেউ। এধারা ঐতিহ্যের ধারাপাত। তা যদি যে কোনো কারণে মুছে যায়, তাহলে ইতিহাস মুছে যাবে না, কিন্তু স্মারক ধ্বংস হয়ে যাবে। উপলব্ধি করি-সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এখন মাটি খুঁড়ে ঐতিহাসিক স্থাপনা আবিষ্কারের এত তৎপর কেন? তার প্রধান কারণ, পূর্বপুরুষকে জানা, নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করা ও সভ্যতাকে ধারণ করা। আমাদের অনেকের বাড়িতে পূর্বপুরুষের ছবি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা আছে। কেন? আত্মজিজ্ঞাসায় উদ্যোগী হলে নিজের অস্তিত্বকে চেনা যাওয়ার জন্যই এতসব আয়োজন।

সমাপ্ত
লেখক: সাহিত্যিক, গবেষক ও সাবেক অধ্যাপক
 মোবাইল: ০১৭১১-৩৪১৭৩৫