Published : Tuesday, 21 September, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.09.2021 1:06:36 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার
মুরাদনগরে দোকান ঘর থেকে নাছির মিয়া নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
করেছে পুলিশ। পৃথক আরো দু’টি ঘটনায় দু’জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার
অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পৃথক ৩টি স্থানে এ ঘটনা
ঘটে।
নিহত নাছির মিয়া (৩৫) দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের আব্দুল
আউয়ালের পুত্র। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত গাড়ী চালক জসিম উদ্দিন উপজেলার
নগরপাড় গ্রামের মৃত খোরশেদ ড্রাইভারের ছেলে। অপরজন গকুলনগর গ্রামের জয়দল
হোসেনের ছেলে সেন্টু মিয়া। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহত নাছির মিয়ার বাবা আব্দুল আউয়াল সজল চোখে
বলেন, লোক মারফত জানতে পেরেছি আমার ছেলেকে বাখরনগর অনিক ব্রিকসের উত্তরে
একটি দোকান ঘরে নিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি লাশ
সনাক্ত করি। আমি আমার পুত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
ছুরিকাঘাতে
আহত সেন্টু মিয়া বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি আসার
সময় হক মিয়ার বাড়ির সামনে কাশেম ‘স’মিলের কাছে আসার পর একজন লোক গাড়ি
থামানোর জন্য সিগনাল দেয়। আমি যাত্রী মনে করে গাড়ি থামানোর সাথে সাথেই
কয়েকজন লোক আমাকে ঘিরে ফেলে। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে একজন এসে
আমার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়।
আহত জসিম উদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা
যায়, কাশেম ‘স’ মিলের পশ্চিম পাশের নবীনগর রোড হয়ে বাড়ি আসার পথে পেছন থেকে
গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে টান দেয়। এতে তার গলা ও হাতের রগ কেটে যায়।
নবীপুর
পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, আমার ইউনিয়নে আচমকা এমন ৩টি
ঘটনায় আমি বিষ্মিত। আমি নিজেই জসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুরাদনগর হাসপাতালে
নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা নিয়ে যাই। অবস্থা আশংকাজনক দেখে রাতেই
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর
রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, নিহত নাছির মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন।
তাকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর দু’জন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।