এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও আইপিএলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। চলতি আইপিএলের পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন না বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার।
মূলত ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দেয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি। তবে শোনা যাচ্ছিলো, শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, ওয়ানডের অধিনায়কত্বও ছাড়বেন কোহলি। কিন্তু তা হয়নি। বিশ্বকাপের পরেও ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করবেন তিনি।
তবে কোহলিকে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি; দুই ফরম্যাটের অধিনায়কত্বই ছাড়তে বলেছিলেন ভারতের বর্তমান হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। কিন্তু কোচের কথা পুরোপুরি রাখেননি কোহলি, শুধু ছেড়েছেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব। তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল সেই ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে।
অস্ট্রেলিয়া সফরে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির এক টেস্ট খেলে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন কোহলি। সেই ম্যাচ হেরেছিলো ভারত। পরে অজিঙ্কা রাহানের অধীনে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি জিতে নেয় ভারত। কোহলিকে ছাড়াই এমন পারফরম্যান্সের পরই মূলত তার অধিনায়কত্ব নিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতেই কোহলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন শাস্ত্রী। তখনই তাকে সাদা বলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এ সাবেক তারকা অলরাউন্ডার। কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে অর্ধেক, ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়েননি কোহলি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কোহলির অধিনায়কত্বের বিষয়ে কথা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সফরের পর থেকে। যখন নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই সিরিজটি জিতেছিল ভারত। তখন ইঙ্গিত মিলেছিল, ২০২৩ সালের আগেই হয়তো ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়তে হবে কোহলিকে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ছয় মাস আগে কোহলির সঙ্গে কথা বলেছেন শাস্ত্রী। কিন্তু তখন কথা শোনেননি কোহলি। সে এখনও ওয়ানডের অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী। এ কারণেই মূলত শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছে। বোর্ডও তাকে ব্যাটার হিসেবে আরও বেশি ব্যবহার করতে চায়।’