আত্মার পরিচয় ও পরিচর্যা
Published : Friday, 24 September, 2021 at 12:00 AM
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা ||
আত্মাকে
আরবি ভাষায় ‘রুহ’ বলা হয়। প্রতিটি জীবের শরীরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আত্মা
বিদ্যমান থাকে। ওই সময়টুকুকে আমরা ‘হায়াত’ বলে জানি। এ ব্যাপারে পবিত্র
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের বলেন,
আমি মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে। অতঃপর যখন আমি
তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার পক্ষ থেকে রুহ সঞ্চার করব, তখন তোমরা তার
প্রতি সিজদাবনত হয়ো।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ২৯)
আত্মা আসলে কী, তা বোঝা
মানুষের জন্য দুষ্কর। তাই পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ আত্মার সরল সংজ্ঞা
দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা তোমাকে আত্মা সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তুমি বলো,
আত্মা আমার প্রতিপালকের আদেশবিশেষ। আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দান করা
হয়েছে।’ (সুরা, আয়াত : ৮৫)
আত্মা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রাণীর দেহে অবস্থান করে
মহান
আল্লাহর এই আদেশ যতক্ষণ একটি প্রাণীর দেহে বিদ্যমান থাকবে, ততক্ষণ ওই
প্রাণী জীবিত থাকবে। এর এক মাইক্রো সেকেন্ড আগেও কেউ তাকে মারতে পারবে না
এবং আর এক সেকেন্ড কেউ তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে এসেছে,
‘আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু সেটার মেয়াদ
সুনির্ধারিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৫)
আত্মার জগৎ
মানবদেহে
প্রবেশ করানোর আগে আত্মাগুলো আত্মার জগতে থাকে। সেখানে যার আত্মার সঙ্গে
যার আত্মার পরিচয় থাকে, তাদের সঙ্গে দুনিয়াতে বন্ধুত্ব ও প্রীতির বন্ধন
সৃষ্টি হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আত্মা স্বভাবজাত সমাজবদ্ধ। সেখানে যেসব রুহ
পরস্পর পরিচিতি লাভ করেছিল দুনিয়াতে সেগুলো সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
থাকে। আর সেখানে যেগুলো অপরিচিত ছিল, এখানেও তারা অপরিচিত। (মুসলিম, হাদিস :
৬৬০২)