বর্ষা
শেষে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি
হওয়ায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে সারাদেশে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,
দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি নামলে গরমের অস্বস্তি কেটে যাবে।
আর
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এর গতিপথ বাংলাদেশের দিকে নয়। অবশ্য
কয়েকদিনের মধ্যে সাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, তা বাংলাদেশের
দিকে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম হবে ‘গুলাব (গোলাপ)’। এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম।
গভীর
নিম্নচাপটি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-
দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ
পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা
সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে
পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশ উপকূলে পড়বে না বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।
তিনি
বলেন, “সন্ধ্যা নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। এটি বেশ ঘনীভূত হয়ে তীব্র
রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এর প্রভাব
পড়তে পারে।”
তবে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে জানিয়ে বজলুর
বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমুহকে ১(এক) নম্বর
দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের
মধ্যে সবশেষ গত মে মাসে ‘ইয়াস’ ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছিল।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত
হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’।
‘গুলাব’ কেটে গেলেও আরেকটা লঘুচাপ
সৃষ্টির শঙ্কান কথা জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর নাগাদ এটি
সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে, এটি ২৯ সেপ্টেম্বর নাগাদ নিম্নচাপে রূপ
নিতে পারে। এর দিক হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে।
গত ২৪
ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৩৬.৪ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। এসময় রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫.৭ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
রাজধানীসহ অনেক এলাকায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাইজদীকোর্টে ৩০ মিলিমিটার।
পরবর্তী
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অনেক জায়গায়
এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও
কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।