নিজস্ব
প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার স্থিতিশীলই রয়েছে। আগের ২৪
ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজারের নিচে নেমেছে, যা গত ১৭ মের পর
সবচেয়ে কম। ওই দিন ৬৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, গত এক দিনে ৮১৮ জন রোগী শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১।
গত এক দিনে সারা দেশে ১৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫৯।
আগের দিন এই হার ছিল ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ, তার আগের দিন ছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
দেশে সাড়ে ছয় মাস পর দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত কোভিড রোগীর হার গত মঙ্গলবার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
গত এক দিনে মারা গেছে ২৫ জন। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৩৯৩।
গত এক দিনে সেরে উঠেছে ৯৬৫ জন, তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠল ১৫ লাখ ১০ হাজার ১৬৭ জন।
এই
হিসাবে দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২ হাজার ৮১১। অর্থাৎ
দেশে এখন এই সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।
অথচ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে জুলাই-অগাস্ট জুড়ে দৈনিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাখের উপরও উঠেছিল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ।
গত বছরের শেষ দিকটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ডেল্টা সংক্রমণের বিস্তারে এ বছরের এপ্রিল থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে।
এর মধ্যে জুলাই, অগাস্ট ভয়াবহ অবস্থা পার করে বাংলাদেশ।
২৮
জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ৫ অগাস্ট ও ১০
অগাস্ট দুদিনই ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের
সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ভয়াল অগাস্ট পেরিয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে সেপ্টেম্বরে, যে কারণে দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলেছে।
দৈনিক
শনাক্ত রোগী কমে আসায় সংক্রমণের হারও আসছে কমে। দৈনিক সংক্রমণের হার ৫
শতাংশের নিচে নেমে তা অন্তত দুই সপ্তাহ থাকলে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
বলে ধরে নেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা
দেশে মোট ১৭ হাজার ৮১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৫
লাখ ৯৬ হাজার ৯২৯টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৫১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি। আর এর ৪১১ জনই ঢাকা জেলার।
গত এক দিনে ঢাকা ছাড়া কোনো জেলায় অর্ধ শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়নি। ঢাকার পরে বেশি রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রাম (৪৬) ও কক্সবাজারে (৩৮)।