নতুন নেতা খুঁজতে ভোট দিচ্ছে জাপানের ক্ষমতাসীন দল। নির্বাচিত নেতাই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদি সুগা মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর সরে দাঁড়ানোয় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বুধবারের নির্বাচনে দুই নারীসহ চার প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্য কেউ একজন থেকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা নির্বাচিত হবে। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাকে সাধারণ নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে।
প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ৫৮ বছরের তারো কানো। মার্কিন স্নাতক এই ভ্যাকসিন মন্ত্রী এক সময়ে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলেছেন। এছাড়া আছেন ৬৪ বছরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন সানায়ি তাকাইচি (৬০)। অতি রক্ষণশীল এই নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া আছেন দলের উদারপন্থী নেতা ৬১ বছরের সেইকো নোডা।
পার্টির ভোটাররা স্থানীয় সময় দুপুর একটায় টোকিও হোটেলে ভোট দেওয়া শুরু করবেন। বেলা ২.২০ মিনিটে ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
জনমত জরিপে দেখা গেছে জনগণের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারো কানো। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হতে প্রয়োজনীয় ২৮৩ ভোট তিনি পাবেন বলে মনে হচ্ছে না।
সেক্ষেত্রে শীর্ষ দুই প্রার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে আবারও নির্বাচনে লড়তে হবে। তাতে বিজয়ী হতে ৪২৯ ভোটের মধ্যে ২১৫ ভোট পাওয়ার প্রয়োজন পড়বে। পুনর্র্নিবাচনের ক্ষেত্রে ফুমিও কিশিদা এগিয়ে থাকবেন। কেননা দলের অতি রক্ষণশীল অংশ তারো কোনোর ব্লকে ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুনর্র্নিবাচন হলে তার ভোট স্থানীয় সময় ৩টা ৪০ মিনিটে প্রকাশের কথা রয়েছে।
পার্লামেন্টে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এলডিপির নেতাই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ২৮ নভেম্বরের আগেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হতে হবে।