সোমবার গভীর রাতে খবর ছড়িয়ে পড়েছিলো, হার্ট অ্যাটাক করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল। তামাম বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা এ খবরে মর্মাহত হয়। সবাই প্রার্থনা করেন ইনজামামের দ্রুত সুস্থতার জন্য। তবে হার্ট অ্যাটাক করেননি তিনি।
পরদিন দুপুরের মধ্যেই বাড়ি ফিরে গেছেন ইনজামাম। বাড়ি ফিরে জানিয়েছেন, তিনি হার্ট অ্যাটাক করেননি। মূলত রুটিন চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানে কিছু সমস্যা দেখা দেয়ায় ১২ ঘণ্টার মতো থাকতে হয়েছে হাসপাতালে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া ভিডিওবার্তায় ইনজামাম বলেছেন, ‘আমার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করায় আমি পাকিস্তান এবং বিশ্বের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি পাকিস্তানের মানুষ, পাকিস্তান ক্রিকেটার এবং বিশ্বব্যাপী সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা আমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।’
‘আমি বিভিন্ন খবর দেখেছি, যেখানে আমার হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে। আমি হার্ট অ্যাটাক করিনি। রুটিন চেকআপের জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। তারা তখন এনজিওগ্রাফির কথা বলে। এনজিওগ্রাফি করার সময় তারা দেখতে পায় আমার একটি আর্টারি ব্লক হয়ে আছে।’
‘তাই তারা এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি স্টেন্ট বসায়। এটা সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে এবং খুবই সহজ প্রক্রিয়া ছিলো। হাসপাতালে যাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমি বাসায় ফিরে এসেছি। আমি এখন সুস্থ আছি।’
সোমবার বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ইনজামাম। ঐ সময়ের মধ্যে তার ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে হার্ট অ্যাটাকের কথা জানানো হয়। এমনকি সার্জারি প্রয়োজন বলেও জানায় তারা। তবে ইনজামাম জানালেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, ‘আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছি মৃদু অসস্তি নিয়ে। তবে সেটা আমার হার্টের আশপাশেও ছিলো না, পেটের কাছাকাছি ছিলো। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমি যদি দেরি করতাম তাহলে হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো।’
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইনজামাম। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৯৫ ম্যাচে করেছেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৭০১ রান। টেস্টে তার নামের পাশে রয়েছে ১১৯ ম্যাচে ৮৮২৯ রান।
খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর বিভিন্ন দায়িত্বে পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন। প্রথমে ব্যাটিং পরামর্শক ও পরে প্রধান নির্বাচন হন তিনি। এর বাইরে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচও ছিলেন ইনজামাম।