জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দৃশ্যত দেশটির পরবর্তী হতে যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার এক নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে এলডিপির নেতা হিসেবে জয় পান কিশিদা। ভোটাভুটিতে জয় লাভের পর কিশিদা সাধারণ নির্বাচনে পরিবর্তিত দল নিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি এবং করোনা মহামারি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এবারের এলডিপির দলীয় নেতা নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক জরিপে আরেক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে করোনার টিকার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তারো কোনো বেশ এগিয়ে ছিলেন।
বুধবার সকালে ভোটদান শুরু হলে প্রথম দফার ভোটে কিশিদা ও কোনোর লড়াই চলছিল প্রায় সমানে সমানে। চূড়ান্ত গণনায় কিশিদা মাত্র এক ভোটে এগিয়ে থেকে প্রথম স্থান পান। তবে প্রধান দুই প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশ সমর্থন নিশ্চিত করতে পারেননি। এর জের ধরে তাদের মধ্যে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার লড়াই।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে কিশিদা ও কোনোর ভোট ছিল যথাক্রমে ২৫৬ ও ২৫৫। অন্য দুই প্রার্থী সানায়ে তাকাইচি ও সেইকো নোদার পক্ষে ভোট পড়ে ১৮৮ ও ৬৩টি।
অপর দিকে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর দেখা যায়, কিশিদা তার সমর্থন ধরে রাখার বাইরে পরাজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বড় অংশের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এতে কোনোর পক্ষের ভোট ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। চূড়ান্ত গণনায় কিশিদা পেয়েছেন ২৫৭ এবং কোনোর পক্ষে পড়েছে মাত্র ১৭৭টি ভোট।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এলডিপির নতুন নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আগামী ২৮ নভেম্বরের আগেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদি সুগার সরে দাঁড়ানোর পর জাপানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন।