বিশ্বের উন্নত দেশগুলো শত শত বছর ধরে চাঁদ নিয়ে গবেষণা করে আসছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর চন্দ্র অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চাঁদের নমুনা এনেছে চীন।
চাঁদে চাং’ই-৫ অভিযান চালিয়ে জমাট বাঁধা লাভা এনেছিল চীন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো আগের অভিযানগুলোতে আনা নমুনার চেয়ে প্রায় ১০০ কোটি বছর কম পুরোনো।
‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘এতে চাঁদ সম্পর্কে আমাদের আগের ধারণা বদলে গেল। আগে যা মনে করা হতো, চাঁদ হয়তো তারও অনেক পরে শীতল হয়েছিল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন ও সোভিয়েত অভিযানগুলোতে চাঁদ থেকে আনা নমুনা ২৯০ কোটি বছরের বেশি পুরোনো। আর গত বছরের শেষ ভাগে পরিচালিত চীনের চাং’ই-৫ অভিযানে আনা নমুনার বয়স ১৯৬ কোটি বছরের কাছাকাছি। এতে চাঁদে আমাদের আগের ধারণার চেয়ে দীর্ঘ সময় ভলকানিক কার্যক্রম চালু ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’
চাং’ই-৫ অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল, চাঁদে কত সময় ধরে আগ্নেয়গিরি সক্রিয় ছিল। নিবন্ধনের লেখকেরা বলেছেন, ‘চাঁদের ওসেনাস প্রসেলারাম অঞ্চলকে উচ্চ পটাশিয়াম, থোরিয়াম ও ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। এই উপাদানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে তেজস্ক্রিয়তা হ্রাসের মধ্যে দিয়ে তাপ বিকিরণ করে আসছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ম্যাগমাটিক (লাভা-সংক্রান্ত) কার্যক্রমের তাপের উৎস হতে পারে তথাকথিত ‘টাইডাল-হিটিং’। আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবেও তাপ উৎপন্ন হতে পারে।