রেফারির এক সিদ্ধান্তে চিত্র পাল্টে যায় ম্যাচের। সাফে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। সঙ্গে অনেক দিন পর ফাইনালে খেলার স্বপ্নটাও ধূলিস্যাত হয়েছে বাংলাদেশের। যা কোনওভাবে মানতে পারছেন না লাল-সবুজ দলের সেনানীরা।
নেপালের বিপক্ষে শুরুর বিপদটা ঘটে গোলকিপার জিকো লাল কার্ড দেখলে। তার পরেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট কয়েক বাকি থাকতে বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন উজবেক রেফারি আখরোল রিজকুলায়েভ। তাতে জেতা ম্যাচ ড্র করে বিদায় নিতে হয়েছে জামালদের। এমন ড্রয়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। ওই ম্যাচের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বাংলাদেশ দল কিছুতেই ভুলতে পারছে না।
লাল কার্ড দেখা আনিসুর রহমান জিকো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া ভিডিও বার্তায় বাজে রেফারিং নিয়ে বলেছেন, ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। লাল কার্ড দেখিয়েছে, ঠিক আছে সমস্যা নেই। কিন্তু মূল সমস্যা পেনাল্টি, যেটা দিয়েছে(রেফারি) তা পুরো অন্যায়। আমাদের পক্ষে ছিল না। একদম বাজে সিদ্ধান্ত ছিল।’
২০১৮ সাফ ফুটবল কিংবা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ বা নেপালে তিন জাতি প্রতিযোগিতা থেকে শূন্য হাতে বিদায় নিতে হয়েছে। সে কারণেই মালদ্বীপের আসরে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু এভাবে বিদায় নেওয়াটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না জামালরা। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় ড্রেসিং রুমের অবস্থা কেমন ছিল তা তুলে ধরেছেন জিকো, ‘এর আগেও খারাপ লেগেছে। তবে এমন খারাপ আগে লাগেনি। এক গোলে লিড নিয়েছি। ফাইনালে যাবো, সেই আত্মবিশ্বাস ছিল। সবার স্বপ্ন ছিল ফাইনালে খেলা নিয়ে। না যেতে পেরে সবাই ড্রেসিংরুমে কান্নাকাটি করেছে। হোটেলে ঘুমাতেও পারিনি। খাওয়া দাওয়া করতে পারছি না ঠিকমতো।’
আগামী নভেম্বরে শ্রীলঙ্কাতে চার জাতি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। সেখানেও বাজে রেফারিং নিয়ে শঙ্কিত জিকো, ‘শ্রীলঙ্কাকে মাঠে খেললেই তো হবে না। রেফারিং ভালো হতে হবে। খেলোয়াড়রা শতভাগ দিচ্ছে, কিন্তু রেফারি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলে তো হবে না। তবে আমরা সবাই চেষ্টা করবো চার জাতি প্রতিযোগিতা থেকে ট্রফি নিয়ে আসতে।’