Published : Saturday, 16 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 16.10.2021 1:31:19 AM
স্টাফ
রিপোর্টার।। পূজামণ্ডপকে ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর স্বাভাবিক
রয়েছে কুমিল্লার জনজীবন। শান্তিপূর্ণভাবেই দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন
করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের দিনে বিজয়া
দশমী ও বিসর্জন হওয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল কুমিল্লা জেলা
পুলিশ ও প্রশাসন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বিজিবির ব্যাপক তৎপরতাও লক্ষ্য
করা গেছে নগর জুড়ে। কেউ যেন বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে না পারে প্রতিটি মসজিদের
সামনে জুমার নামাজের আগেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। প্রতিমা
বিসর্জন পর্যন্ত তাদেরকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া
হয় বলে জানায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি মাঠে ছিলো কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী
লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম
টুটুল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর,
আতিক উল্লাহ খোকন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল
চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, যুগ্ম আহবায়ক কাউন্সিলর হাবিবুর আল
আমিন সাদি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ
সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল আজিজ
সিহানুকসহ নেতৃবৃন্দ নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ও মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। এছাড়া
এসময় বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সামনে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকেন।
জুম্মার জামাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহান জানিয়ে বয়ান করেন মসজিদের
ইমামগণ।এদিকে দশমীর দিন গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন
দিঘীতে নির্বিঘ্নভাবেই প্রতিমা বিসর্জন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
পুলিশী
পাহারায় ধর্মীয় রীতি মেনে সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয় প্রতিমা বিসর্জন।
কুমিল্লা
পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান,
কুমিল্লায় নির্বিঘ্ন ভাবেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতির
ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার মোঃ তানভীর আহমেদ জানান, জেলার সিংহভাগ মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন
নির্বিঘ্নভাবেই শেষ হয়েছে। প্রতিটি বিসর্জনেই পুলিশের পাহারা ছিলো। কোথাও
কোন বিশৃঙ্খলা হয় নি। বিসর্জনের পরও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর
রয়েছে।
এর আগে সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দিঘীর পাড়ের পূজা মন্ডপ
পরিদর্শন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।
তারাও এই ঘটনার দ্রুত বিচার এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।