রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলায় মাস্টার প্লান হাতে নিচ্ছে পশ্চিমা সামরিক মিত্র জোট ন্যাটো।
বৃহস্পতিবার ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা নতুন এই মাস্টার প্লানের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জুনে চীনের সামরিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেন, চীন তাদের পরমাণু শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে চীন তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতায় পশ্চিমা দেশগুলে চিন্তিত। চীনের দিকে মনোযোগ দেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন ফ্রন্টে কীভাবে রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা করা যাবে জোট দেশগুলো সেটা নিয়ে ভাবছে।
এই মাস্টার প্লানে ন্যাটোর গোপন কৌশলের মধ্যে রয়েছে, বাল্টিক ও কৃষ্ণসাগর এলাকায় কোনো ধরনের হামলা হলে তা প্রতিহত করা। কৌশলগুলো মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার থেকে শুরু করে সাইবার আক্রমণ ও আকাশ সীমা থেকে আক্রমণও রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ন্যাটো জোট এই মাস্টার প্লানের নাম দিয়েছে, ‘একবিংশ শতাব্দির হুমকি এবং কীভাবে এটা মোকাবেলা করতে হবে।’
তবে ন্যাটো কর্মকর্তারা এটাও বিশ্বাস করছেন যে, রাশিয়া এক্ষুণি কোনো হামলা করবে না।
মস্কো যে কোনো ধরনের আক্রমাণাত্মক অভিপ্রায় নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ন্যাটো ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে ইউরোপের দেশগুলোকে নিরাপত্তা দিতে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয়। জোটে ২৮টি ইউরোপীয় দেশসহ মোট ৩০ দেশ সদস্য রয়েছে।