নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র
কোরআন শরীফ রাখার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন।
কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে আটকের পর ইকবাল সেখানকার
স্থানীয়দের কাছে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানিয়েছে
পুলিশ। এছাড়াও শুক্রবার কক্সবাজার থেকে কুমিল্লার পুলিশ লাইন্সে আনার পর
জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও ইকবাল একই কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা। তারা জানান, পূজামণ্ডপ
পবিত্র কোরআন রাখার পর হনুমানের মুর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেয়ার কথাও পুলিশের
কাছে বলেছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও ইকবাল
জানাননি। কারণ গ্রেফতারর পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
এবিষয়ে
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর হোসেন বলেন, আটকের পর
কক্সবাজার থেকে ইকবালকে কুমিল্লায় আনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একধিক টিক
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কক্সবাজারে স্থানীয়দের কাছে ইকবাল পূজামণ্ডপে
কোরআন রাখার বিষয়টি স্বীকার করলেও কুমিল্লায় আনার পর সে অসংলগ্ন আচরণ করছে।
যার কারণে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এখনও ক্লিয়ার করেনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ
অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে কক্সবাজার থেকে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর
১২টার দিকে ইকবালকে বহন করা পুলিশের গাড়ি কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছায়।
এরআগে, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে
নিয়ে আসা হয় কুমিল্লায়।
এরপর সাড়ে ১২টা পুলিশ লাইন্সে পুলিশের হেলমেট ও
বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করেন ইকবাল
হোসেনকে। এর আগে (২১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায়
ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে।
পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।