খেলার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, নিজেদের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া, শুরুর আড়ষ্টতা কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফেরার জন্য আরও সময় দরকার বলে মনে করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সবকিছু সম্ভব-এই আত্মবিশ্বাস দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। নিজেদের সবশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতালান্তার বিপক্ষে শুরুতে দুই গোল হজম করে বসে ইউনাইটেড। পরে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় তারা। মার্কাস র্যাশফোর্ড ও হ্যারি ম্যাগুইয়ারের গোলে সমতায় ফেরার পর শেষ মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন রোনালদো।
গ্রীষ্মের দলবদলে ইউনাইটেড দল গুছিয়েছে বেশ ভালোভাবে। রোনালদো ছাড়াও তারা দলে টেনেছে ফরোয়ার্ড জেডন স্যানচো ও সেন্টার-ব্যাক রাফায়েল ভারানেকে। মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালোভাবে করলেও মাঝে পথ হারিয়ে বসে তারা। ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে আছে উলে গুনার সুলশারের দল।
লিগে রোববার ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা লিভারপুলের মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে নিজেদের দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে রোনালদো বলেন, সবকিছুর সঙ্গে দলের সবাই ঠিকঠাক মানিয়ে নিতে না পারার কারণেই মাঝে মধ্যে তাল কেটে যাচ্ছে।
“মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, এমনকি যে কৌশলে আমরা খেলি, সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও সময় লাগবে। কিন্তু ধাপে ধাপে একটা বিষয় আমাদের মাথায় গেঁথে নিতে হবে যে-সবকিছু সম্ভব।”
“কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আমি কথা বলি না। নিজের চেয়ে দলীয় অর্জনকে আমি সবকিছুর ওপরে রাখি। সম্মিলিতভাবে কোনো কিছু জয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত অর্জন সহজৃআর আমি মনে করি দলগত সাফল্য পাওয়া সম্ভব।”
ইউনাইটেডে ফেরার পর রোনালদোর সময়টা দারুণ কাটছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে ছয় গোল করেছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করতে বললেন, সেরা দল হয়ে উঠতে সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
“সবারই দলে নিজের ভূমিকা বুঝতে হবে। দলে ও ক্লাবে আমার ভূমিকা কি, সেটা আমি জানিৃআমার কাজ হচ্ছে গোল করা, অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সাহায্য করা।”
“যদি সবাই এভাবে চিন্তা করে, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে, আমি মনে করি আমরা আরও ভালো দল হয়ে উঠব। চমৎকার সব সমর্থকরা আমাদের পাশে আছে, দারুণ একটি স্টেডিয়াম আছে, দলও অসাধারণ, এসব কিছুকে সঙ্গী করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”