Published : Wednesday, 27 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 27.10.2021 1:37:16 AM
মাসুদ আলম।।
দ্বিতীয়
ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার তিনটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিনাপ্রতিদ্ধন্দ্বিতায় সাতজন ইউপি
চেয়ারম্যান বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে জেলার লাকসাম উপজেলায় পাঁচ ইউনিয়নে
চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদেও একক প্রার্থীর কারণে
সকলই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন। প্রার্থীরা সকলই সরকার দলীয়।
জেলা
নির্বাচন অফিস জানায়, ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে লাকসাম ছাড়া বাকী মেঘনা ও তিতাস
উপজেলার ১৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান এবং ১৭টি মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা
মেম্বার পদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জেলার তিতাস উপজেলার
৯টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে কড়িকান্দি ইউনিয়নে সাইফুল আলম
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক। তবে এই
উপজেলায় বাকী ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও জাতীয়
পার্টির একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এই উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর
বাহিরে সরকার দলীয় বিদ্রোহী রয়েছেন দুইজন। জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে দুইজন।
মজিদপুর ইউনিয়নে জাতীয়পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ চারজন। বড় রামপুরে
আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, জাতীয়পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ তিনজন, কলাকান্দি ইউনিয়নের
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্রসহ দুইজন। ভিটিকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী
লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তিনজন। নারানদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও
স্বতন্ত্রসহ দুইজন এবং সাতানি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও
স্বতন্ত্রসহ তিনজন।
অপরদিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের
মধ্যে চন্দনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আসাদুল্লাহ মাস্টার
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে। তিনি এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে বাকী ৭ ইউনিয়নে দলীয় সাত প্রার্থীর বিপরীতে সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী
রয়েছেন। পাশাপাশি এই উপজেলার তিন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ
নিয়েছেন। তারা হলেন গোবিন্দপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একই ইউনিয়নের
বিএনপির সেক্রেটারী মো. সেলিম। মানিকারচর ইউনিয়নে মেঘনা উপজেলা যুবদলের
সভাপতি আতাউর রহমান এবং রাধানগর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আনিছ মিয়া।
কুমিল্লা
জেলা সিনিয়ন নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, তিন উপজেলার ২২টি
ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯৪ বৈধ প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার
করেছেন ১৪জন। সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৪৭৪ জন। আর
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ১৪৫জন নির্বাচনে অংশ নিবেন। এরমধ্যে
সাধারণ সদস্য পদে ৬১জন এবং সরক্ষিত পদে ১৯জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী
হচ্ছেন।