রেকর্ড
ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতেছেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট,
কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট- ইতিমধ্যে নিজের করে নিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ১১ উইকেটের রেকর্ডেও ভাগ
বসিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। বোলিংয়ের মতো না হলেও হাসছে ব্যাট। তারই
প্রতিফলন আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে। এই সংস্করণের অলরাউন্ডার
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান আবার ফিরে পেয়েছেন সাকিব।
আইসিসি এক
বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের মুকুট ফিরে পাওয়ার খবর জানিয়েছে। আফগানিস্তান অধিনায়ক
মোহাম্মদ নবিকে সরিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এরই মধ্যে ১১ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।
ইংল্যান্ডের ম্যাচে একটি উইকেট হলেই এককভাব নির্দিষ্ট এক বিশ্বকাপের
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে যেতেন তিনি। ব্যাটিংয়েও আলো ছড়িয়েছেন। ২৯.৫০ গড়ে
১১৮ রান করে আছেন সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকার তৃতীয় স্থানে।
দুর্দান্ত
এই পারফরম্যান্সে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ২০ রেটিং পয়েন্ট যোগ হয়েছে
সাকিবের নামের পাশে। ২৯৫ পয়েন্ট নিয়ে সাকিব এখন শীর্ষে। বিপরীতে নবি ১০
রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে (২৭৫) নেমে গেছেন দ্বিতীয় স্থানে।
তবে অবিশ্বাস্য
উন্নতি হয়েছে আইসিসির সহযোগী দেশ নামিবিয়ার জেজ স্মিটের। ২৩ ধাপ এগিয়ে ১৬১
রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছেন এই অলর্উান্ডার। উন্নতি হয়েছে গ্লেন
ম্যাক্সওয়েলেরও। তিন ধাপ এগিয়ে এখন চারে আছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
বোলিং
র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। ডানহাতি স্পিনার ১১ ধাপ
এগিয়ে সেরা দশে ঢুকে গেছেন। ৬২১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে মেহেদী এখন ৯ নম্বরে।
তার ওপর-নিচে দুই সতীর্থ- সাকিব (৬৩২) আটে ও মোস্তাফিজুর রহমান (৬১৪) দশে।
শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি। ব্যাটিং
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। দুইয়ে যথারীতি
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে তৃতীয় স্থানে বদল এসেছে। আট ধাপ এগিয়ে
তিনে উঠে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রাম। অন্যদিকে মোহাম্মদ
রিজওয়ান তিন ধাপ এগিয়ে রয়েছেন চারে।