Published : Wednesday, 27 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 27.10.2021 1:40:13 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা
শহরের কাপড়িয়াপট্টি চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায়
বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় গ্রেফতার ১৭ জনের মধ্যে ১৬জনকে কুমিল্লা
কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে দুই দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের নিার্দেশ দিয়েছে
আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী
আদালতের (কোতয়ালী) বিচারক নুসরাত জাহান উর্মি এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে
জানা গেছে, ১৭ জনের মধ্যে একজন শিশু হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল-১ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালত জামিন প্রদান করেন। মামলার বাকী
১৬জন আসামীকে দুই দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়। কোতয়ালী মডেল থানার
মামলা নম্বর-৫৪ এর বাদী উপ-পরিদর্শক আলিম খান।
সূত্র জানায়, হামলা,
ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় আসামিরা হচ্ছে-
কুড়িগ্রাম জেলার মৈদীপুর এলাকার কাশেম আলীর ছেলে মোঃ এরশাদুল হক (২৭),
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা এলাকার আবুল কাশেম মজুমদারের ছেলে আবু
ফয়সাল হোহান (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাও. আবুল খায়েরের
ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২১), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা
এলাকার মৃত ওমর ফারুকের ছেলে তানভীর হোসেন (২৩), বরুড়া উপজেলার ছোট
দুর্গাপুর মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (২৩), সদর দক্ষিণ উপজেলার
উনাইসার এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (২১), নাঙ্গলকোট
উপজেলার আজিয়ারা এলাকার আবদুর রবের ছেলে মোঃ রাকিব হাসান (১৯), সদর দক্ষিণ
উপজেলার শাওড়াতলী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), আদর্শ সদর
উপজেলার মনোহরপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম অপি (২২), একই
উপজেলার ছোটরা এলাকার আলী বক্সের ছেলে মামুন (৩০), কাপড়িয়াপট্টি এলাকার
নাজির মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০), বজ্রপুর এলাকার মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে সিরাজুল
ইসলাম প্রকাশ মঞ্জিল (৩২), ডিগাম্বরীতলা এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে
রেজাউল করিম (৪৭), একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মঈনুল হাসান মজুমদার
(৪৫), বরুড়া উপজেলার দিগুলী এলাকার ফরিদ আহমেদের ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৪),
সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁদপুর এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন (২২) এবং
আদর্শ সদর উপজেলার বজ্রপুর মৌলভীপাড়া এলাকার কাজী মো. ইউছুফের ছেলে সাইফুল
ইসলাম (৪০)।
গতকাল মঙ্গলবার এই ১৭জন আসামীর রিমাণ্ড শুনানির দিন ধার্য
ছিলো। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর ১৬ জন আসামিকে দুই দিন করে কুমিল্লা
কারাগারের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। বাকি এক শিশু
আসামীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ (জেলা ও দায়রা জজ) জামিন
প্রদান করেন।