মোঃ খায়রুল বাশার ||
টমটমব্রিজ থেকে কান্দিরপাড়ের দূরত্বটা কাগজে কলমে এক কিলোমিটারের কিছুটা কম বেশী হলেও আজকের বাস্তবতায় নিতান্তই কঠিন মনে হয়, আর তা বুঝি দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল যে, ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় অভিমুখে যাত্রা করলেই যে কারো মনে না করার কোন কারণ থাকে না যে, পুরো কুমিল্লা শহরের ঝামেলাটা বুঝি কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বরকে ঘিরেই স্তুুপ হয়ে আছে। অথচ মূল টার্নিংয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে পানির ঝর্ণা প্রবাহের উপরে বিশাল ডিসপ্লেতে গুরুত্বপূর্ণ ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে-নিয়মিত, অথচ-ঠিক তার নিচেই ঘটে চলেছে অনিয়ম আর বিশৃঙ্খল পরিবেশের উপস্থিতি। আসা যাওয়ার পথে প্রতিটি যানবাহন যেন বাঁধভাঙ্গা পানির মত দিশেহারা হয়ে ছুটাছুটি করছে।
এরই মাঝে অতর্কিতভাবে যোগ হচ্ছে যানবাহনের অযাচিত হর্ণ। চতুর্পাশে গাড়িগুলোর লম্বা লাইনটা দেখার পরও প্রতিটা ড্রাইভার এক ঘেয়ামী করে তার হর্ণটাকে বাঁজিয়ে নিজেকে জানান দিচ্ছে। এখানকার পরিস্থিতি দেখলে নির্ঘাত মনে হয় যানজট সমস্যাটি সমাধানের রুপ রেখা বাস্তবায়ন করার মতো মনমানসিকতা এই যাবত কারো মাঝেই কাজ করেনি।
যার প্রমাণ আজকের কান্দিরপাড় মোড়ের চেহরায় পুরোপুরি দৃশ্যমান। প্রতিদিনের এই যানজট লক্ষ লক্ষ নারীপুরুষের জীবন থেকে মূল্যবান সময়গুলো কোন প্রকার যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই একরকম জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হচ্ছে, যা কখনোই ফেরত পাবার যোগ্য নয়। কান্দিরপাড় অভিমুখে ছেড়ে আসা সিএনজি ও অটোরিকসাগুলো যে হিসেবে এখানে প্রবেশ করছে, ঐ তুলনায় এখান থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজিগুলোর হিসেব যদি অনুপাত করা হয়, তাহলে স্পষ্টই দেখা যাবে যে, এই দুইয়ের মাঝে কতটা পার্থক্য। যার প্রকৃত বাস্তবতা হলো-প্রতি মিনিটে যদি ১০টি সিএনজি দক্ষিণ দিক থেকে এখানে প্রবেশ করে, বিপরীতে একই সময়ের মধ্যে ৫টি সিএনজি ও এখান থেকে ছেড়ে যেতে পারছে না। কারণ এখানে নিয়মের কোন বাস্তবায়ন নেই। পুরো সময়জুড়ে এখনটাতে দাঁড়ানো ২৫-৩০টি সিএনজি এলোপাথাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকতে থাকে। এতে প্রতি গাড়িতে ০১ জন, ০২ জন, ০৩ জন করে বসে থাকতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে ০৫ জন যাত্রী না হওয়া পর্যন্ত সকল ড্রাইভার ঘাপটি মেরে বসে থাকে। এতে যানবাহনের গ্যাস অপচয় ছাড়াও যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। অপরদিকে প্রতিটি ড্রাইভার নিয়ম শৃঙ্খলার শূণ্যতার কারনে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
এখানে প্রতিনিয়ত শৃঙ্খলার দ¦ায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন, তারাও যেন পরিস্থিতিটাকে সামাল দিতে গিয়ে একরকম হিশশিম খেতে হয়। ফাঁকে ফাঁকে সিভিল পোশাকধারী কিছু ব্যাক্তির হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠের টুকরা বা প্লাস্টিকের পাইপ শোভা পায়। এগুলো দিয়ে প্রতিটি সি.এন.জি/অটোরিকশার পেছনের বনেটে সজোরে আঘাত করতে দেখা যায়, অথচ ঐ ব্যাক্তিগুলোর প্রতিজনের ৫-৭ দিনের রোজী রোজগার একত্রিত করলে ও হয়তোবা ঐ সি.এন.জি বা অটোরিকশার একটি টায়ার কিনার সামর্থ্য তাদের কপালে জুটবে না। কিন্তু এই বিচিত্র মানুষগুলো এভাবেই দিবালোকে সবার চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ টাকার যানবাহনগুলোর প্রকৃত সৌন্দর্য ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট করার কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যা কখানোই কোনো সভ্য সমাজের নিকট গ্রহণযোগ্য হবার কথা নয়। যার চাক্ষষ প্রমাণ প্রায় প্রতিটি সিএনজি বা অটোরিকশার পেছনটাতে লক্ষ্য করলেই যে কারোর পক্ষে এর সত্যতা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি। তাদের এহেন আচরণ দেখলে অতি সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন জাগে যে, তারা কারা ???
হয়তোবা ঐ মুহুর্তে সিএনজিটাতে কোনো একজন মা তাঁর নবজাতককে নিয়ে বসে আছেন, আবার কেউ তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে, হয়তোবা তিনি একজন হৃদরোগী। ঠিক ঐ মুহুর্তে যদি ঐ লাঠিয়াল ব্যাক্তিটি সিএনজিটির ঠিক পিছনে ধপাশ ধপাশ করে সজোরে আঘাত করে। এতে বিশাল শব্দ দূষণের কারণে সিএনজির ভিতরে অবস্থানরত নারীপুরুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। তাই এমন পরিস্থিতি থেকে এখানে আগন্তুুক সকল নারী পুরুষকে রেহাই দেওয়ার স্বার্থে যানজট সমস্যার সু-নির্দিষ্ট কারণগুলো উদঘাটন স্বাপেক্ষে একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করছি।
এই প্রসঙ্গে প্রথমে দৃষ্টিপাত করতে চাই, কি কারণে টমটমব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত প্রায়শই যানজটের ভোগান্তি লক্ষ্য করা যায়।
০১। পূর্বের তুলনায় মানুষ এবং যানবাহনের সংখ্যা বাড়লে ও রাস্তার আয়তন বাড়ে নি।
০২। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার সময় গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না রাখা।
০৩। কান্দিরপাড়ের অদূরে যে মেডিকেল টাওয়ারটি অবস্থিত, এখানে বিভিন্ন দিক থেকে আসা সিএনজি ও এম্বুল্যান্সসমূহ পার্কিং এবং যাওয়ার আসার পথে দিক পরিবর্তন করার প্রাক্কালে যা হয়ে থাকে।
০৪। ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার না থাকায় যত্রতত্র গাড়ির দিক পরিবর্তন করার সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।
০৫। কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এরিয়ায় কোন যাত্রী ছাউনী এবং রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে ফুটওভারব্রিজ না থাকায় পুরো এলাকা জুড়ে নারীপুরুষ বিক্ষিপ্ত ভাবে যানবাহনের উঠা-নামার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
০৬। দিনের বেলায় বড় যানবাহন যেমন- ট্রাক, সাধারণ যাত্রীবাহী বাস ও বিশ^বিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
০৭। কান্দিরপাড় মোড়ের অদুরে রাস্তার পশ্চিম পাশে স্ট্যান্ডের সিএনজিগুলো কিছুক্ষণ পর পর ছেড়ে যাবার সময় যখন রাস্তার দিক পরিবর্তন করে, তখন বিশাল যানজটের সৃষ্টি করে।
এতকিছুর পরও যে সমস্যাটি থেকে যায়, তাহলো মানুষরুপী কিছু দুপায়া সৃষ্টজীব প্রসঙ্গ, যারা কখনোই নিজের জীবন জীবিকাকে বৈধ বা হালাল পথে পরিচালিত করার সৌভাগ্য হয় না বলে তারা অভিশপ্ত। আর তাদের জন্যই মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরাআনের সূরা বাকারায়ে ৮৫ নং আয়াতে শেষ অংশে এরশাদ করেছেন, তবে কি তোমরা আমার প্রদত্ত কিতাবের কিছু অংশ মান্য কর? এবং কিছু অংশ অমান্য কর? অতএব, তোমাদের মধ্যে যে এইকাজ করবে, তাদের জন্য এই কাজের শাস্তি হিসেবে ইহ জীবনে লাঞ্চনা এবং কেয়ামতের দিনে ওদের নিয়ে যাওয়া হবে কঠিনতর শাস্তির দিকে, কেননা তিনি তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে বেখবর নন!
যাদের প্রসঙ্গটা এখানে আনা হয়েছে, তারা হলো অসৎ উপায়ে জীবিকা অবলম্বন-কারী মানুষরুপী মুর্খ। যাদের কারণে বর্তমানে আমাদের রার্ষ্ট্রীয় ও সমাজ ব্যবস্থা আংশিক কলঙ্কিত। তারা আমার আপনার শরীরের ঘাম ঝরানো ট্যাক্সের টাকায় উৎসব ভাতা, পেনশন সুবিধা ভোগ করছে নিয়মিত, প্রতিমাসের বেতনের টাকা পাই পাই হিসেব করে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করছে, সাথে পাচ্ছে স্বল্প মুল্যের রেশন সুবিধা ও। কিন্তু এতকিছুর পরেও যেন তারা লোভ সামলাতে পারছে না, যেন আরেকটু দিলে ভালো হয়। সেই লোভে অন্ধ হয়ে রাস্তায় ফুট পাতের ভিখারীর মতো গাড়ির জানালা দিয়ে দুই, চার, পাঁচ শত টাকার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, অথবা অন্য কোনো অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার স্বার্থে কৌশল অবলম্বন করে গরিব মেহনতি মানুষগুলোর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, বিপরীতে তারা ভোগ বিলাসে নিমজ্জিত হচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে, এই হলো বাস্তব অবস্থা। তাই বিশৃঙ্খলার শিকলে আবদ্ধ ব্রিজ টু কান্দিরপাড় পুরো রাস্তাটাকে যানজট মুক্ত করার স্বার্থে আপাত দৃষ্টিতে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি, নিম্নে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সুপারিশ আকারে লিখার চেষ্টা করছি।
০১। নোয়াগাঁও চৌমুহনী থেকে সালাউদ্দীন হোটেল পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে যে মিনি খালটি রয়েছে, তাতে পাইপ লাইন বসিয়ে পানি চলাচলের সু-ব্যবস্থা করা স্বাপেক্ষে উপরে রাস্তা নির্মাণ করা। যাতে নোয়াগাঁও থেকে কমপক্ষে সালাউদ্দিন হোটেল পর্যন্ত ডাবল লাইনে যানবাহন চলাচল করতে পারে।
০২। কান্দিরপাড় মেড়ের দক্ষিণে রাস্তার পশ্চিম পাশে মসজিদ সংলগ্ন যে পুকুরটি রয়েছে, এটি যদি সরকারি সম্পত্তি হয়ে থাকে, তাহলে জনস্বার্থে তা ভরাট করে এখানটাতে আসা সকল সিএনজি অটোরিকশার জন্য স্ট্যান্ড হিসাবে রূপান্তর করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
০৩। কান্দিরপাড় মোড়ে পূর্ব পাশে সুবিধাজনক স্থানে একটি চিহ্নিত আইল্যান্ড নির্মাণ করা যেতে পারে, যার সুবাদে প্রতিটি সিএনজি সিরিয়াল অনুয়ায়ী যাত্রী উঠা নামা স্বাপেক্ষে অতি দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে সুবিধা হবে।
০৪। কান্দিরপাড় মোড়ে ফুট ওভার ব্রিজ না থাকায় এখানে বিভিন্ন দিক থেকে আগন্তুুক নারী পুরুষ রাস্তা পারাপারে ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার কোন বালাই নেই, এতে সাধারন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই পরিবেশ থেকে সাধারণ মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার স্বার্থে রাণীর বাজার, পুলিশ লাইন, চকবাজার, টমটমব্রিজ, আদালত ফৌজদারী ও ভিক্টেরিয়া কলেজসহ বিভিন্ন দিকে রাস্তা পারাপারের বিকল্প হিসেবে একটি বহুমুখী ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি।
০৫। একমাত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর যানবাহন ব্যতীত সকাল ০৬ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের ভিতরে ট্রাক বা যেকোনো ধরনের বড় মাপের যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রামমালা থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত সিএনজি ও অটোরিকশা ভাড়া ৫টাকা এবং ব্রিজ থেকে চকবাজার পর্যন্ত ১০ টাকা, কিন্তু তুলনা করলে দেখা যায়, ব্রিজ থেকে চক বাজারের দূরত্ব যতটুকু ঠিক তার অর্ধেকের ও কম দুরত্বের রাস্তা কান্দির থেকে ব্রিজ যাওয়ার ভাড়া ১০ টাকা। তাছাড়া গত কিছুদিন পূর্বে ও যেখানে কান্দিরপাড় থেকে বিশ^রোড পদুয়ার বাজারের ভাড়া ১৫ টাকা ছিল, এখন সেটা ২০ টাকা, এতে জনমনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে যে, কুমিল্লা শহরের বেশ কিছু জায়গা ভাড়ার বিষয়টাতে আদৌ কোনো নীতি নিয়মের মধ্যে আছে কিনা? তাহলে সবাই কি নির্যাতনের শিকলের বেড়া-জালে আবদ্ধ? যেখানে-ব্রিজ থেকে কোটবাড়ি বিশ্বরোডের ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা, আবার ব্রিজ থেকে রাজাপাড়া চৌমুনীর ভাড়া ১০ টাকা। সেখানে ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড়ের দূরত্ব বড় জোর ১ কিলোমিটার হলেও এই জায়াগার ভাড়া কিভাবে ১০ টাকা হয়? তা নিতাত্তই প্রশ্নবিদ্ধ?
তাই জনস্বার্থে এই বিষয়গুলো বিচার বিশ্লেষণ পূর্বক সরকারি নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রতিটি যাত্রীবাহী স্ট্যান্ডের দু’পাশে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন করা, যাতে সাধারণ মানুষ জুলুমের শিকার না হয়, তাছাড়া টাউন হল মাঠের দক্ষিন পাশে মানুষ চলাচলের জন্য যে ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে, এতে বিভিন্ন হকার দখল করার কারণে অধিকাংশ নারী পুরুষ এই ফুটপাত দিয়ে চলার পক্ষে নয় যে কারণে অধিকাংশ নারী পুরুষ যানবাহন চলার রাস্তার উপর দিয়ে চলতে বাধ্য হয়। এছাড়া দক্ষিণ পাশে বিভিন্ন ফলের দোকান ও ভিক্ষুক রাস্তা দখল করার কারণে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, এছাড়া রাণীর বাজার অভিমুখে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে হকাররা ফুটপাত দখল করার কারণে সাধারণ মানুষ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। যে বিষয়টি সবার চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে। এতে এখানকার আশেপাশের দোকানীরা লাভবান হলেও কান্দিরপাড়গামী অধিকাংশ মানুষ তাদের মূল্যবান সময়গুলো অপচয় করতে বাধ্য হচ্ছে, যা এখানকার যানজট সমস্যার অন্যতম একটি কারণ। আর বিপরীতে কিছু প্রভাবশালী সিএনজি ও ফুটপাতের হকারদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে নিজেদের পকেট ভারী করছে প্রতিনিয়ত এ পথে চলাচলকারী লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এই বিষয়টি প্রশাসনের খতিয়ে দেখার দরকার বলে মনে করছি।