প্রদীপ
মজুমদার : কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শতবর্ষী বাগমারা বাজার রক্ষা করার
দাবিতে ইউএনও সাজিয়া আফরোজ এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে চার লেন কাজে
অনাপত্তি স্মারকলিপি প্রদান করেন বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ীরা। গতকাল
বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর বাজার রক্ষা কমিটির আহবায়ক অমর কৃষ্ণ বণিক মানিক,
আবদুল ওয়াদুদ তালুকদার , ডা. শাহ আলম, গোলাম কবির মজুমদার , জাকির হোসেন,
জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসকের স্মারকলিপি ইউএনও’র হাতে তুলে
দেন।
স্মারকলিপিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চারলেনের কাজের
উপজেলার শতবর্ষী বাগমারা বাজার রক্ষায় সরকারের চলমান কাজে বর্তমান রাস্তার
পাশ দিয়ে রাস্তা বর্ধিত করা হলে তাদের কোন আপত্তি নেই বলে জানান ভূমি মালিক
ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, সড়ক ও জনপদ কুমিল্লা জেলা
প্রকৌশলী বরাবরেও তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে ভূমি মালিক ও ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন।
স্মারকলিপিতে
উল্লেখ করেন শতবর্ষ ধরে সড়ক ও জনপদের দুই পাশে ব্যবসা বাণিজ্য সহ বসবাস
করে আসছেন। গত ২০১৭/২০১৮ সালে সড়কটি ৪ লেনে উন্নতি করণ শুরু করে প্রকল্পের
কাজ প্রায় শেষ পর্যায়, জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত একটি মহলের অবৈধ দখল দারিত্ব
ও কম মূল্যে জমি ক্রয় করে তিনগুণ টাকা পাওয়ার আসায় এই অংশের কাজটুকু বন্ধ
করে রাখে।
একটি মহলের অপতৎপরতা ও কারসাজির কারণে সড়ক ও জনপথের কতৃপক্ষের
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একই বাজারের মধ্যে দিয়ে বাজার ধ্বংস করে বিকল্প দুই
লাইন সড়ক নির্মাণে উদ্যোগী হচ্ছে। যদি বাজার ধ্বংস করে রেল লাইনের পশ্চিম
পাশে সড়ক নির্মাণ করা হয় তাহলে এই প্রতিষ্ঠিত বাজারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত
হবে। বাজার ও রেললাইন পূর্বদিকের স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী,
বাজারে আসা নারী, বৃদ্ধ ক্রেতা বিক্রেতাদের জীবন বিপন্ন হবার উপক্রম হবে।
এছাড়া ঐতিহ্যের এই বাজারে ধান বাজার, হাঁস মুরগী হাঁটা, কবুতর হাঁটা,দুধ
বাজার,মাছের আড়ৎ,চারা বাজার সবই বিলুপ্ত হবে পুনরায় বাইপাস সড়ক হলে।
ইতিপূর্বে রেলওেয়ের লাকসাম - আখাউড়া ডবল লাইনের কারণে বাজারে রেললাইনের
পশ্চিম পাশে ২০০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। একই জায়গায় বাইপাস সড়ক
হলে ব্যবসায়ীরা পথে বসা ছাড়া কোন রাস্তা খোলা থাকবেনা। বাজারের ভেতর দিয়ে
বর্তমান সড়কের সাথে বর্ধিত করা হলে কোন স্কুল কলেজ, মসজিদ, মন্দির,
মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়না। উপরন্তু সড়ক ও জনপথের বেদখলকৃত জায়গা, মন্দির,
মসজিদের বেদখলকৃত জায়গা স্বার্থান্বেষী মহলের হাতছাড়া হয়ে যায়। এই রাস্তা
সম্প্রসারণ বন্ধের জন্য মামলা দায়ের করেন আব্দুল বারী গং। সে মামলা সড়ক ও
জনপথের পক্ষে রায় প্রদান করে হাইকোর্ট রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য। বর্তমান
রাস্তার পাশে সড়ক বর্ধিত করা হলে ব্যবসায়ী ও ভূমি মালিকদের কোন আপত্তি নেই
বলে জানান তারা।
বাজার সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক অমর কৃষ্ণ বণিক মানিক
বলেন যারা মসজিদ, মন্দির, সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে রেখেছে তারাই বিভিন্ন
ভাবে রাস্তাটি বাজারের ভেতর থেকে সড়িয়ে রেললাইন সংলগ্ন করতে চায়। তিনি
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন সরজমিনে তদন্ত করে দেখুন প্রকৃত ভূমির
মালিকরা রাস্তা বাজারের ভেতর দিয়ে যাক তাই তারা চায়। ব্যবসায়ী ও ভূমি
মালিকদের প্রাণের দাবি রাস্তাটি যেন বাজারের ভেতর দিয়ে যায়। তিনি মাননীয়
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।