নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৩৭ জেলায় গত এক দিনে নতুন কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসেনি; পাঁচ বিভাগে কারও মৃত্যুও হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের। এর মধ্যে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৯ জনে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৮৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২৭৬ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৭ হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭০টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, যা গত বছরের ৩১ মার্চের পর সবচেয়ে কম। নেদিন শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিলেন।
তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও চারজন নারী। ৬ জনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৪ কোটি ৬৩ লাখের বেশি রোগী।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৪৪ জনই ঢাকা জেলার, যা সারা দেশের মোট শনাক্তের দুই তৃতীয়াংশের বেশি। আর যারা মারা গেছেন, তাদের অর্ধেক অর্থাৎ তিনজন ঢাকা জেলার বাসিন্দা ছিলেন।