করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। এই তিন জনই নারী। এর আগে গতকাল (১ নভেম্বর) প্রায় দেড় বছর পর করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়। ওই দুই জনও নারী ছিলেন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ১৭ হাজার ৮৪২ জন এবং নারী ১০ হাজার ৩১ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর ঠিক ১০ দিন পর করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা যাওয়া রোগী ছিলেন পুরুষ। তার বয়স ছিল ষাট বছরের বেশি। দেশে করোনা মহামারির শুরু থেকে পুরুষ আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি ছিল এবং পুরুষের মৃত্যুও ছিল বেশি।
এ বছরের ১২ আগস্ট দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম পুরুষ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারী মৃত্যু। সেদিনই প্রথমবারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী মৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন এবং নারী ১০৮ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষ আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, এ কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে এতদিন এটাই জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনও কোনও দিন নারী মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ-নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে। হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ এগিয়ে থাকায় নারী মৃত্যু বাড়ছে।