টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ব্যর্থতার মূল কারণ বিশ্লেষণ করলে সামনে আসবে ব্যাটিং ব্যর্থতা ও কেয়ারলেস ফিল্ডিং! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিটন দাস দুটো ক্যাচ মিস না করলে সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচ জিততে পারতো বাংলাদেশ। জয়ের সুযোগ ছিল তৃতীয় ম্যাচেও। কিন্তু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেটিও হারতে হয়েছে শেষ বলে। এমন দুটি ম্যাচ জিততে পারলে টুর্নামেন্টে খুব ভালো অবস্থানেই থাকতো তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর মাহমুদউল্লাহ ওই দুটি হার নিয়ে আক্ষেপ করলেন ভীষণ।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এভাবে হারা ভীষণ কষ্টদায়ক, বিরক্তিকর। আমরা দুটি ম্যাচ জিততে পারতাম। জিততে পারলে হয়তো আমাদের সফরের গল্পটাই ভিন্ন হতো।’
মঙ্গলবারের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমার মতে, বোলিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। কিন্তু আমরা একটুও ভালো করিনি। হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল। বোলাররা সুবিধা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও ভালো ব্যাটিংয়ের আশা করা যেত।’
অভিষেকের পর থেকেই দলের অটোমেটিক চয়েজ হয়ে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি টানা বাজে সময় যাওয়ার পরও তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার সাহস করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ছিল ব্যতিক্রম। তাকে বাদ দিয়েই সাজানো হয় একাদশ। সেক্ষেত্রে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পেস বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন তাসকিন আহমেদ। আগ্রাসন, গতি, স্কিল তিনে মিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছিলেন। ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
ম্যাচ শেষে তাই তাসকিনের প্রশংসা করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘তাসকিন খুবই ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে, এই টুর্নামেন্টে। তাই আজকের ম্যাচের জন্য তাসকিন ও মোস্তাফিজের যেকোন একজনকে ভাবা হচ্ছিল এবং আমরা একাদশে তাসকিনকেই রেখেছি।’