ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
অবশেষে বার্সেলোনার কোচ জাভি
Published : Saturday, 6 November, 2021 at 2:15 PM
অবশেষে বার্সেলোনার কোচ জাভিকতবার যে গুঞ্জন উঠেছে- বার্সেলোনার কোচ হচ্ছেন জাভি! সেই এরনেস্তো ভালভার্দে ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পর থেকে আলোচনা শুরু। আর এই আলোচনা ওঠার কারণও ছিল। বার্সেলোনাকে যে তার রূপে-ঢংয়ে পাওয়া যাচ্ছিল না একেবারেই। কিন্তু জাভি রাজি হচ্ছিলেন না। তবে এবার আর ‘না’ বলতে পারেননি। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার নতুন কোচ এখন জাভি।

কাতালান ক্লাবটি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। চলতি মৌসুমের বাকি অংশের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি হয়েছে জাভির সঙ্গে। অর্থাৎ, পৌনে তিন বছরের মতো হয়েছে চুক্তিটা। বার্সেলোনা জানিয়েছে, আগামী সোমবার (৮ নভেম্বর) ন্যু ক্যাম্পে দর্শকদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে নতুন কোচকে।

লিওনেল মেসি ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পর বার্সেলোনার অবস্থা আরও খারাপ। এবারের মৌসুমে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স তাদের। তাই রোনাল্ড কোম্যানের ওপর আর আস্থা রাখতে পারেনি জোয়ান লাপোর্তার বোর্ড। তাকে ছাঁটাইয়ের পর নতুন কোচ হিসেবে জাভির নামই বেশি শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর কাতারি ক্লাব আল সাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছায় বার্সেলোনা। আল সাদের প্রধান কোচের পদ থেকে জাভিকে আনতে তাদরে রিলিজ ক্লপ পরিশোধ করতে হয়েছে কাতালানদের।

বার্সেলোনা জাভির প্রাণের ক্লাব। সেই ছোট্টবেলায় লা মাসিয়া দিয়ে পথচলা শুরু বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারে পরিণত হয়েছেন নীল-মেরুন জার্সিতে। পেশাদারি ক্যারিয়ারের ১৭ বছর পার করেছেন এই ক্লাবে। ২০১৫ সালে যখন ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে গেলেন, তখন ক্যারিয়ারের অস্তলগ্নে। আল সাদ দিয়েই শুরু করেছিলেন শেষের শুরু। ২০১৯ সালে পেশাদারি ক্যারিয়ারকে বিদায় বলার পর ওই আল সাদেই শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। খেলোয়াড়ি জীবনের মতো কোচিংয়েও নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বার্সেলোনায় ফিরে এবার নিলেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ভালভার্দে যখন ছাঁটাই হলেন, জাভির সঙ্গে যোগাযোগ করে জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বোর্ড। কিন্তু জাভি রাজি হননি। ভালভার্দের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়া কিকে সেতিয়েন যখন চাকরি হারালেন, তখনও ডাক পড়েছিল জাভির। যদিও এবারও ‘না’ ছিল উত্তর। ফলে কোম্যানকে দেওয়া হয় ন্যু ক্যাম্পের দায়িত্ব। এই ডাচ কোচ বরখাস্ত হওয়ার পর জাভির আর ‘না’ বলতে পারেননি। প্রাণের ক্লাবে ফিরলেন এবার কোচ হিসেবে।

১৯৯১ সালে লা মাসিয়ায় অনূর্ধ্ব-১২ দল দিয়ে শুরু তার বার্সেলোনা অধ্যায়। আর মূল দলে অভিষেক ১৯৯৮ সালে। লুইস ফন গালের অধীনে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে সিনিয়র দলে জায়গা পাকাপোক্ত করতে সময় লাগেনি জাভির। ২০০৩ সালে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের অধীনে নিজের প্রকাশ আরও ভালোভাগে ঘটান। আর ২০০৮ সালে পেপ গার্দিওয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন নিজেকে। ১৭ বছরের দীর্ঘ বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২৫ শিরোপা। যেখানে ৮ লা লিগার সঙ্গে আছে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগের সাফল্য।