আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে চার নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। এক অধিকারকর্মীর মৃত্যুর খবরের পর এ তথ্য জানিয়েছেন তালেবান সরকারের এক মুখপাত্র। শনিবার (৬ নভেম্বর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্বারি সাইদ খোস্তি এক ভিডিও বার্তায় জানান, নগরীর একটি বাড়িতে চারজনের মরদেহ পাওয়ার পর দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে, তাদের বাড়িতে ওই নারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং মামলাটি আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খোস্তি নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে এক নারী অধিকারকর্মী রয়েছেন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় সুশীল সমাজের বরাত দিয়ে বিবিসি পার্সিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চার নারী বন্ধু ও সহকর্মী ছিলেন। তারা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য মাজার-ই-শরীফ বিমানবন্দরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি অধিকার গোষ্ঠীর সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, প্রথমে ওই নারীরা একটি ফোন কল পায়। তারা ভেবেছিল তাদের দেশের বাইরে নিয়ে যেতে সাহায্য করতেই কেউ ফোন দিয়েছে। তারপর একটি গাড়ি এসে তাদের নিয়ে যায়। এরপরই তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চলতি বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে রক্ষণশীল ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিল তারা। পশ্চিমা সমর্থিত গানি সরকারের পতনের পর ফের ক্ষমতা দখলের পরে অনেক অধিকারকর্মী দেশটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
তাছাড়া তালেবান ক্ষমতা দখলের পর অনেক নারীরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ দমনে শক্তি প্রয়োগ করেছিল তালেবান যোদ্ধারা।