ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জানুয়ারিতেই বড় পরিবর্তন!
Published : Monday, 8 November, 2021 at 12:00 AM
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরও এমনটা হয়েছিল। কোচ স্টিভ রোডস ইংল্যান্ডে থেকে গিয়েছিলেন। বেচারা কোর্টনি ওয়ালশ! তাকে বিসিবির কেউ বিদায় পর্যন্ত বলেননি। বুকভরা অভিমান নিয়ে টিম হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। বৈশ্বিক মঞ্চে যে কোনো ব্যর্থতার পর কোচিং স্টাফ ও দলে রদবদল হয়েছে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরও এমন কিছু হতে যাচ্ছে। তবে এবার ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগোচ্ছে বিসিবি। আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা হজমই করে নিচ্ছে বিসিবি। যা হওয়ার জানুয়ারিতে হবে!
চলতি মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিচ্ছে বিসিবি। ডিসেম্বরে জাতীয় দলের নিউ জিল্যান্ড সফর। জানুয়ারিতেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনবে বিসিবি। কোচিং স্টাফ, নির্বাচক ও দলের খেলোয়াড়দের ভেতরে আসবে পরিবর্তন। ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানুয়ারিতে সেসব প্রণয়ন করা হবে।
বোর্ড পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সেই আভাসই দিলেন, ‘তাড়াহুড়ো করলে কিছু হবে না। একটা ধাক্কা তো আসছে, আমাদের কেউ তো প্রত্যাশা করিনি। রকেট সায়েন্সের কিছু নেই যে হঠাৎ করে পরিবর্তন চলে আসবে। জেতা আরম্ভ করবে। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ধৈর্য ধরতে হবে। পরিবর্তন অবশ্যই হবে। পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক। জানুয়ারিতে পরিবর্তন আসতে পারে। যেহেতু সিরিজটা অনেক কাছে। পরিবর্তন হওয়ারই সুযোগ আছে এখানে।’
টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট দল নিয়ে বিসিবি খুব একটা নাড়াচড়া করবে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্থায়ী কোনো দল, পরিকল্পনা নেই। আপাতত একটি ফরম্যাটে বড়সড় পরিবর্তন এনে তরুণদের এক্সপোজার দেওয়ার কথা বললেন খালেদ মাহমুদ, ‘একটা ফরম্যাটই আছে যেটাকে আমরা এক্সপোজার দিতে পারি। ওয়ানডে দল অনেকটা সেট হয়ে আছে। টেস্টেও ভালো দল সেট করা আছে। তরুণ ক্রিকেটারদের এক্সপোজার দিতে হলে আমাদেরকে এ ফরম্যাটেই দিতে হবে। এই ছেলেরা খেললেই বাংলাদেশ জিতবে তেমনটা নয়। কিন্তু তাদেরকে তৈরি করতে হবে। সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা পযার্য়ক্রমে তাদের নিয়ে এগোতে চাই।’
খালেদ মাহমুদকে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব দিয়েই সাত তরুণকে ডেকেছে বিসিবি। রোববার নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তানবির ইসলামকে নিয়ে মিরপুর একাডেমিতে কাজ করেন তিনি।
স্কিলের পাশাপাশি খালেদ মাহমুদ ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর দিকেও নজর দেওয়ার কথা বললেন, ‘ক্রিকেট তো মানসিক খেলা। আপনি যদি মানসিকভাবে শক্ত না হোন কিছু পারবেন না। যারা টেনিস বলে ক্রিকেট খেলে তাদেরও চাপ থাকে। সেই চিন্তাটা ম্যানেজমেন্ট থেকেই করে দিতে হবে। একটা ছেলে প্রতিদিন রান করবে না। কিন্তু তার আত্মবিশ্বাসের জায়গায়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মানসিক ব্যাপারটাই গুরুত্বপূর্ণ।’