ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লার মেঘনায় নৌকার অফিসে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, পেট্রল বোমা উদ্ধার
Published : Wednesday, 10 November, 2021 at 11:49 AM
কুমিল্লার মেঘনায় নৌকার অফিসে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, পেট্রল বোমা উদ্ধারকুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেনের অভিযোগ নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর হারুন অর রশিদের কর্মী ও সমর্থকরা তার নির্বাচনী অফিসে এই হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় ইউনিয়নের দড়ি উত্তর বাউশিয়া গ্ৰামে নৌকার নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও হামলার ঘটনার পর পুলিশ মানিকারচর বাজার সংলগ্ন মসজিদে পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ৫টি পেট্রল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মেঘনা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। 
তার মধ্যে, অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেনের কর্মী মোঃ ওয়াসিম বাদী হয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের অভিযুক্ত কর্মী ও সমর্থকদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে ঘটনায় পর পেট্রল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মেঘনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা হয়েছে। 
নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য এবং পেশি শক্তি ব্যবহার করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের কর্মী, সমর্থকরা গভীর রাতে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। যারা এই হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছেন তার মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড 
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী। তারা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হয়ে কিভাবে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও নৌকা পুড়িয়েছেন। আমি এই ঘটনায় জড়িত সকল অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। কুমিল্লার মেঘনায় নৌকার অফিসে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, পেট্রল বোমা উদ্ধার
অভিযুক্ত নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশিদের ভাই মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, গত রাতের নৌকার অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তারা জড়িত না। তার ভাই নৌকা বিপক্ষে না প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন। 
মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, নৌকা প্রার্থীর অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের এবং পেট্রল বোমা উদ্ধার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। 
একটি মামলা করেছেন নৌকার প্রার্থীর কর্মী ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তি আর পেট্রল বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন আটক গ্ৰেফতার নেই।