বাংলাদেশের রক্ষণে মূল স্তম্ভ ধরা হয় তাকে। রক্ষণ সামলে তপু বর্মণ গোল করতেও সিদ্ধহস্ত। ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে কিংবা স্পট কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় জাল কাঁপাতে জুড়ি নেই তার। এরই মধ্যে বর্তমান দলে খেলা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি! লাল-সবুজ দলের হয়ে এখন খেলছেন, এমন ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল ২৬ বছর বয়সী ফুটবলারের। তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৬ গোল।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছে। শ্রীলঙ্কাতে চার জাতি প্রতিযোগিতায় পেনাল্টি থেকে দলকে জিতিয়েছেন তপু। আর এই গোলটি করে অন্যদের ছাড়িয়ে গেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা এই ডিফেন্ডার। এতদিন সতীর্থ মাহবুবুর রহমান সুফিলের সঙ্গে ৫ গোল করে সমান্তরালে চলছিলেন। মালদ্বীপকে বধ করে তাকে এবার টপকালেন।
এছাড়া বর্তমান দলে কেউ তপুর ধারেকাছে নেই। শুধু আরেক উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের লক্ষ্যভেদ আছে দুটি। মালদ্বীপ ম্যাচে জয়ের নায়ক তপু তাই উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের সবসময় সমর্থন করে আসছেন। আমার দলের সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে। মালদ্বীপকে ১৮ বছর পর হারালাম আমরা। সবাই খুব খুশি।’
এছাড়া তপুর আরেক দিক দিয়ে ভাগ্যবান। তার দেওয়া ৬ গোলেই হয় বাংলাদেশ ড্র করেছে কিংবা জিতেছে, হারেনি।
২০১৫ সালে কেরালা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তপু প্রথম গোল পেয়েছিলেন, ভুটানের বিপক্ষে। অন্য দুটি গোল সাফে ২০১৮ সালে ঢাকায় ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গোলটিতে বাংলাদেশ ড্র করেছিল।
২০২১ সালের সাফে শ্রীলঙ্কা ও এবার মালদ্বীপের বিপক্ষে পেনাল্টিতে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। তাই দলের অন্যতম আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে আছেন তপু।