দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন ১৫১ জন রোগী শনাক্তের খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল। দেশে মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরুর পরের মাসটির ওই দিনটিতে ১৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
এ নিয়ে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮ জনে। এছাড়া একই সময়ে করোনায় সংক্রমিত হয়ে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৯১৮ জন। গতকালও ৫ জন মৃত্যুর খরব দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা গত দেড় বছরে মধ্যে সর্বনিন্ম। এর আগে ২০২০ সালের ৫ মে ১ জনের মৃত্যুর খরব দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার ধারায় সংক্রমণ ও মৃত্যু নেমে এসেছে গত বছরের এপ্রিল-মে মাসের পর্যায়ে। দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫৬৯ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ১১ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮ জন। সুস্থ হয়েছেন আরো ১৯২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৩ জন। দেশে সাড়ে ছয় মাস পর দৈনিক শনাক্তের হার গত ২১ সেপ্টেম্বর ৫ শতাংশের নিচে নামে। জুলাই মাসে তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ।
গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ আগস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।