২০১৫ সালের পর এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সোমবার থেকে অনুশীলন। এর আগে মিরপুরে হয়ে গেছে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা। সেখানে অবশ্য দুঃসংবাদ নেই কোন। নেগেটিভ হয়েই সোমবার সকালে অনুশীলনে নামছেন তারা।
আগামী ১৯ নভেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে। ম্যাচের আগে চার দিন অনুশীলনের সুযোগ পাবে পাকিস্তান। ১৫ ও ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মিরপুরের একাডেমিতে সফরকারীরা অনুশীলন করবে। ১৭ নভেম্বর পৌনে ২টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত অনুশীলনের সূচি রয়েছে। আর প্রথম ম্যাচের আগের দিন বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটে তারা অনুশীলন করবে।
এই সিরিজের দল আগেই পাকিস্তান ঘোষণা করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসা দল থেকে মোহাম্মদ হাফিজ আসেননি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিযোগিতায় রিজার্ভ হিসেবে থাকা ব্যাটার খুশদিল শাহ, পেসার শাহনাওয়াজ দাহানি ও লেগ স্পিনার উসমান কাদিরকেও রাখা হয়েছে। আর বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থেকে যুক্ত করা হয়েছে ইফতিখার আহমেদকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সঙ্গে দুটি টেস্টও খেলবে পাকিস্তান। শুরুটা হবে কুড়ি ওভারের লড়াই দিয়ে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনটি টি-টোয়েন্টি যথাক্রমে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর। এরপর ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ও ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে শেষ টেস্ট।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আসিফ আলী, ফখর জামান, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটকিপার), শাহীন আফ্রিদি, শাহনওয়াজ দাহানি, শোয়েব মালিক, উসমান কাদির।